অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম 2023

সম্মানিত পাঠক আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে আজকে আমরা প্রকাশ করব অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকার গর্ভবতী মায়েদের সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে গর্ভবতী অথবা মাতৃত্বকালীন এককালীন ভাতার ব্যবস্থা চালু করেছেন। যার মাধ্যমে প্রতিটি গর্ভবতী মা তার স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চিত করতে সক্ষম হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এটি গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যই প্রদান করে থাকেন। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের মানুষের মাঝে এই সেবাটি প্রদান করা হয়। বর্তমান সময়ে অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার গর্ভবতী মায়েদের গর্ভবতী কার্ড অনলাইন এর মাধ্যমে প্রদান করা বিষয়টি চালু করেছে। যার মাধ্যমে এখন অনলাইনে গর্ভবতী কার্ডের জন্য এখন ঘরে বসেই প্রতিটি গর্ভবতী মা আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছে। এজন্যই আমরা আমাদের আলোচনায় আপনাদের উদ্দেশ্যে আজকের অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কিত সকল ধরনের তথ্য উপস্থাপন করেছি। আশা করছি আজকের এই কথাগুলো আপনাদের সকলের কাজে লাগবে।
বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের শরীরের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গর্ভবতী ভাতা অথবা গর্ভবতী কার্ডের ব্যবস্থা চালু করেছে। এ ব্যবস্থাটির মাধ্যমে দেশের প্রতিটি স্থানের গর্ভবতী মায়েদের এককালীন ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এই এককালীন ভাতা প্রদানের মাধ্যমে দেশের অনেক গর্ভবতী মা তার শরীরের যত্ন নিতে সক্ষম হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে। আবার অনেকেই আর্থিকভাবে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। গর্ভবতী এই কার্ডটি ইউনিয়ন পরিষদ এর সদস্য কোন কর্তৃক গর্ভবতী মায়েদের প্রদান করা হয়। বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে গর্ভবতী কার্ড করার প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিটি গর্ভবতী অনায়াসে একটি গর্ভবতী কার্ডের আবেদন করতে পারবে। এমনকি এই গর্ভবতী কার্ডের ভাতাটি অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা অন্যান্য অনলাইন উত্তোলন করতে সক্ষম হবে। এটি নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার আবিষ্কার।
অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম
অনেকে অনলাইনে গর্ভবতী কাজ করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চান। এজন্য আমরা আজকে নিয়ে এলাম আমাদের আলোচনায় অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কিত এই প্রতিবেদনটি। আজকের এই প্রতিবেদনের আলো কে আপনারা প্রত্যেকে অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম গুলো জানতে পারবেন। প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যই বাংলাদেশ সরকারের এই গর্ভবতী কার্ড প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। যেখানে গর্ভবতী মায়েদের এককালীন ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ভাতা প্রদানের মাধ্যমে অনেক গর্ভবতী মা তার শরীরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সক্ষম হচ্ছে সেই সাথে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারছে। বর্তমানে প্রতিটি ক্ষেত্রে অনলাইন চালু হওয়ার মাধ্যমে এখন গর্ভবতী কার্ড অনলাইনে করা সম্ভব হচ্ছে। যা প্রতিটি স্থানের জনগণ প্রতিটি গর্ভবতী মায়ের ভাতার জন্য অনায়াসে আবেদন করতে পারছে। নিচে অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম গুলো তুলে ধরা হলো:
- প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভধারণকাল (যেকোনো একবার)।
- বয়স কমপক্ষে ২০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে।
- মোট মাসিক আয় ২,০০০/- টাকার নিম্নে।
- দরিদ্র প্রতিবন্ধী মা অগ্রাধিকার পাবেন।
- কেবল বসতবাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বাস করে।
- নিজের বা পরিবারের কোনো কৃষি জমি, মৎস্য চাষের জন্য পুকু নেই।
- উপকারভোগী নির্বাচনের সময় অর্থাৎ জুলাই মাসে উপকারভোগীকে অবশ্যই গর্ভবতী থাকতে হবে
- প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় বা জন্মের ২ (দুই) বছরের মধ্যে মারা গেলে তৃতীয় গর্ভধারণকালে ভাতা প্রাপ্য হবেন।
- একজন ভাতাভোগী জীবনে একবার ২ (দুই) বছর সময়কালের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা পাবেন।
- কোনো কারণে সন্তানের মৃত্যু হলে অথবা গর্ভপাতের কারণে নির্দিষ্ট চক্র অসম্পূর্ণ থাকলে তিনি পুনরায় গর্ভবতী হলে পরবর্তীতে ২ (দুই) বছরের মাতৃত্ব ভাতা প্রাপ্য হবেন, যদি অন্যান্য শর্ত পূরণ হয়ে থাকে।