টিপস

অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধের নিয়ম 2023

অনলাইনে কিভাবে জমির খাজনা পরিশোধ করা যায় সেটা সচরাচর সবাই সকলে জানে না কারণ কখনো তারা অনলাইনে জমির খাজনা পরিষদ করে নাই। অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করার নিয়ম সম্প্রতি চালু করা হয়েছে তবে এটা পুরোপুরি ভাবে বাস্তবায়িত হতে কিছুদিন সময় লাগবে। তার প্রধান কারণ হলো মূলত চেষ্টা মানুষ জানতে এবংব্যবহারে  অভ্যস্ত হতে নিয়মে অভ্যস্ত হতে কিছুদিন সময় এর প্রয়োজন। ভূমি অফিসগুলোতে দুর্নীতির মাত্রা অত্যাধিক হয়ে গেছে দেখা গেছে ১০ টাকা খাজনা পরিশোধ করতে গিয়ে ৫০০ টাকা ঘুষ দিতে হয় কোন কোন ক্ষেত্রে আরো বেশি হয়ে থাকে। আর অফিসগুলোতে  দালালদের আনাগোনা থাকার সাধারণ মানুষগুলো হয়রানের শিকার হতে হয়। এই দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করার পদ্ধতি চালু করেছে ফলে কেউ কেউ তার জমির খাজনা অনলাইনে পরিশোধ করতে পারবেন এতে দুর্নীতিমুক্ত ভূমি সেবার নিশ্চিত হবে। অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করতে হলে প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের সাইন আপ করতে করে নিতে হবে। সাইন আপ হয়ে গেলে আপনার জমির পরিমাণও খাজনার পরিমাণ দেখতে পারবেন।

জমির খাজনা যথা নিয়মে পরিশোধ করবেন কেন?

যাদের জমি আছে কিন্তু কোন ঝামেলায় পড়েন নাই এমন লোক বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ যাদের জমি আছে তারা সকলেই এইরকম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন কাজ না নিয়ে। জমি সংক্রান্ত সমস্যাকেড়ে অনেক দালাল চক্র সৃষ্টি হয়েছে দালালদের খবর পড়ে মা অসংখ্য মানুষ নিশ্চিহ হয়ে গেছে। এর প্রধান কারণ জমি সংক্রান্ত জ্ঞান ভুক্তভোগী লোকদের কাছে যারা ছিল না এছাড়াও তারা কোনদিন জমির খাজনা পরিশোধ করে নাই। জমির খাজনা পরিশোধ করতে গেলে তাতে কোন অর্থাৎ জমির কাগজে কোন সমস্যা থাকলে কাজ না পরিষদ করতে পারবেন না। তাই জমির খাজনা পরিশোধ করতে যান এবং দেখেন জমির কাগজে কোনরকম ঝামেলা আছে কিনা। জমির খাজনা পরিশোধ করলে সে জমিতে কোন প্রকার জটিলতা সৃষ্টি হয় না। যদিও হয় তাহলে খাজনা রশিদ আপনাকে আইনের সহায়তা দিবে মূলত আইন সহায়তা পেতে যোগের কাজ না পরিশোধ করার জরুরী।

কোথায় জমির খাজনা পরিশোধ করবেন?

অনেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে জমির খাজনা কোথায় পরিশোধ করা ভালো এবং কোথায়  পরিশোধ করলে কোন রকম সমস্যায় পড়া যাবে না।আসল কথা হচ্ছে ভূমি মন্ত্রনালয়ের অধীনে শুধুমাত্র জমির খাজনা বা উন্নয়ন কর আদায় করা হয়ে থাকে। প্রতিটি ইউনিয়নে ভূমি অফিস রয়েছে এবং এখানে একজন ভূমিক কর্মকর্তা থাকেন তার অধীনে ওই ইউনিয়নের ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণ করা হয়ে থাকে। আপনার জমির কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি ভূমি অফিসে গিয়ে বলুন আমরা জমির খাজনা পরিশোধ করবো। আপনার কাগজপত্র নিয়ে ভূমিক কর্মকর্তা খাজনা গ্রহণ করে একটি রশিদ দিবে যাকে দাখিল বলা হয়। জমির মালিকানা প্রমাণের ক্ষেত্রে দালিলা অন্যতম দলিল তাই এটি যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।

জমির খাজনা কত টাকা শতক

যারা খাজনা দিতে চান তাদের অবশ্যই জমির খাজনা কত টাকা স্বর্গ সেটা সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। তাহলে জমি হিসাব কত টাকা খাজনা দিতে হবে সেটা খুব সহজে বের করা সম্ভব হবে। বর্তমানে জমির খাজনা দশ একর হতে ১৫ একর পর্যন্ত প্রথমের জন্য ২৩১ টাকা এবং পরবর্তী 25 শতাংশ জন্য ৬০ পয়সা করে হিসাব করা হয়ে থাকে। তাছাড়া ১৫১ থেকে ২৫ একরের জন্য প্রথমে ১৫ একরের জন্য 531 টাকা এবং পরবর্তী ২৫ শতাংশের জন্য ৬০ পয়সা হিসাব করা হয়ে থাকে। যাদের জমি 25 এখনের বেশি হয়ে থাকে তাদের জন্য ১৪৮১ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি শতাংশের জন্য এক টাকা ৪৫ পয়সা হিসাব করা হয়ে থাকে।

পরিশেষে, আশাকরি আজকের পোস্টের যারা পড়েছেন তারা জমির খাজনা দেওয়ার নিয়ম বা অনলাইনে মাধ্যমে জমির কাজ না কিভাবে দিতে হয় এবং আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তারপরও যদি কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে কোন ধরনের অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন।

Comment Here