অনলাইনে জমির খাজনা পরিশোধ করার নিয়ম 2023

সচরাচর অনলাইনে জমির খাজনা কিভাবে পরিশোধ করা যায় সেটা সহ জমির মালিকদের জানা নেই। কারোর কখনো তারা অনলাইনে জমির খাজা পরিশোধ করে নাই অন্যান্য সম্প্রীতি চালু হয়েছে। তবে এই জমির কাজ না পরিষদ করা অনলাইনে পুরোপুরি বাস্তব কিছুটা সময় লাগবে। প্রধান কারণ নতুন সিস্টেম জানতে মানুষের কিছুটা সময় লাগবে এবং ব্যবহারের অভ্যস্ত অবগত নয় এছাড়া নতুন নিয়মে অভ্যস্ত হতে সময়ের প্রয়োজনও রয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি মানুষেরই একটু না একটু হলেও জমিয়ে আছে যাদের জমি আছে তারা ঝামেলায় পড়ে নাই এমন লোক বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া মুশকিল।জমি সংক্রান্ত সমস্যাকে ঘিরে অনেক দালাল চক্র সৃষ্টি হয়েছে দালালদের খপ্পরে পড়ে অসংখ্য মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে জমির পিছনে। এর প্রধান কারণ জমি সংক্রান্ত জ্ঞান ভুক্তভোগী লোকদের জানা ছিল না এছাড়া তারা কোন দিন জমির কাজ না পরিশোধ করে নাই। জমির খাজনা পরিষদ করতে গেলে তাতে কোন কথার জমির কাগজে কোন সমস্যা থাকলে পরিশোধ করতে পারবেন না। তাই জমির খাজনা পরিশোধ করতে চান এবং দেখুন ঝামেলা আছে কিনা। জমির খাজনা পরিশোধ করলে সে জমিতে কোন পোকা জটিলতা সৃষ্টি হয় না যদিও হয় তাহলে খাজনার রশিদ আপনাকে আইনের সহায়তা দেবে। মূলত আইনি সহায়তা পেতে হলে অবশ্যই জমির কাজ না পরিশোধ করা জরুরী।
জমির খাজনা কোথায় পরিশোধ করবেন?
জমি সংক্রান্ত কাজের জন্য অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন জমির খোঁজে জমির খাজনা কোথায় পরিশোধ করলে ভালো হবে কিভাবে পরিশোধ করলে ভালো হবে। আসল কথা হচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে শুধুমাত্র জমির খাস না বা ভূমির উন্নয়ন করা কর আদায় করা হয়ে থাকে। প্রতিটি ইউনিয়নে ভূমি অফিস রয়েছে এবং এখানে একজন ভূমি কর্মকর্তা থাকেন তার অধীনে ওই ইউনিয়নের উন্নয়ন কর পরিষদ করা হয়ে থাকে।আপনারা যদি জমি সংক্রান্ত কাজ ঠিকঠাকভাবে না জানেন তাহলে আপনারা দালালের চক্রে পড়তে পারেন আর একবার দালালের চক্রে পড়লে আপনাদের সবকিছু নিঃস্ব হয়ে যেতে পারে। এজন্য আপনাদেরকে জমি সংক্রান্ত সব বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। না জমির কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি ভূমি অফিসে গিয়ে বলুন আমার জমির খাজনা পরিশোধ করবো। কাগজপত্র নিয়ে ভূমিকম্পকর্তা খাজনা গ্রহণ করে একটি রশিদ দিবে যাকে দাখিলা বলা হয়। জমির মালিকানা প্রমাণের ক্ষেত্রে দালিল অন্যতম দলিল তাই এটি যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে আপনাদের।
অনলাইনে খাজনা পরিষদের নিয়ম
ভূমি অফিসগুলোতে দুর্নীতির মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। এখানে দেখা গেছে যে আপনারা দশ টাকার পাতলা পরিশোধ করতে গিয়ে ৫০০-১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে আরো বেশি হলে হয়ে থাকে আর অফিসগুলোতে দালালদের আনাগোনা থাকায় সাধারণ মানুষগুলো হয়রানি শিকার হয়ে যাচ্ছে অনেক। এই দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় অনলাইনে জমির খাজনা পরিষদের করার পদ্ধতি চালু করেছে। ফলে যে কেউ তার জমির খাজনা ঘরে বসে অনলাইনে পরিশোধ করতে পারবেন এতে দুর্নীতিমুক্ত ভূমি সেবা নিশ্চিত হবে। অনলাইনে জমির খাস না পরিশোধ করতে হলে প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের সাইন আপ করে নিতে হবে। কত টাকা পরিশোধ করেছেন কোন সালে খাজনা পরিষদ করেছেন সব কিছু অনলাইনে দেখতে পারবেন। ডুপ্লিকেট খাজনা পরিশোধ করার কোন সুযোগ নেই এখানে।
জমির খাজনা দিতে কি কি কাগজপত্র লাগে-
যারা প্রথমবার অনলাইনে জমির খাজনা দিবেন তাদের অনেকের মনে প্রশ্ন করে জাগে যে কিভাবে অনলাইনে খাজনা দেওয়া যাবে এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে। আমরা অনলাইনে কিভাবে কাজ না দিতে দেওয়া যাবে এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে তা উল্লেখ করার চেষ্টা করলাম।
১. একটি সচল মোবাইল নাম্বার যেটা সব সময় খোলা থাকে।
২. আপনার জাতীয় পরিচয়/ ন্যাশনাল আইডি কার্ড লাগবে।
৩. পূর্বের রশিদ বা খতিয়ানের ছবি লাগবে।
৪. অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম যেমন বিকাশ থাকতে হবে।
এই কয়েকটি ডকুমেন্ট থাকলে আপনি অনলাইনে সহজে জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন।