অনলাইনে জমির রেকর্ড বের করার নিয়ম 2023

আমাদের দেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ায় সবকিছু এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে। সেজন্য এখানে আপনি অনলাইনের মাধ্যমেও আপনার প্রয়োজনের সব কিছু পেয়ে থাকেন। অনলাইন সিস্টেম চালু হওয়াতেই আপনি হাতের নাগালেই সবকিছু পেতে পারতেছেন। রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী একটি জমির মালিকানাকে বা কারা হতে হবে তার বিবরণী প্রস্তুত করাকে খতিয়ান বলা হয়। রেকর্ড ও যদি অধিদপ্তর বাংলাদেশের সকল জমির রেকর্ড নতি সংরক্ষণ করে।সাধারণভাবে খতিয়ান হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় লেনদেন গুলো লিপিবদ্ধ করার পাকা বই। তবে বিষয় যখন জমি কেন্দ্রিক তখন জমি ও বা ভূমি সংক্রান্ত মালিকানা নির্ধারণের ব্যবহৃত বিবরণ কে জমির খতিয়ান বলা হয়।
জমির খতিয়ান বা রেকর্ড কি
জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম সম্পর্কে জানার আগে ভালোভাবে বুঝতে হবে জমির খতিয়ান বা জমির রেকর্ড কি জিনিস।এতে করে কাজের উদ্দেশ্যে বা করণীয় বিষয়গুলো খুব সহজে উপস্থাপন খুব সহজ হবে। মূলত খতিয়ান হচ্ছে কোন হিসাব নিকাশের বিস্তারিত রূপ। তবে যখন জমির খতিয়ানের কথা আসে তখন এটার নাম হয়ে যায় পর্চা। তবে স্থান ও অবস্থান বেঁধে থাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রীয়ভাবে জরিপ করার ক্ষেত্রে মৌজা ভিত্তিক জমি জামার মালিকানা নির্ণয়ের বিবরণ প্রস্তুত করার সমন্বয় হলো খতিয়ান। মৌজা হচ্ছে রাজস্ব আদায়ের সর্বনিম্ন একক এলাকা। একগুচ্ছ নিয়ে গঠিত হতো একটি পরগনা। এক্ষেত্রে একটি জমি বা ভূমির এক বা একাধিক মালিকানা নাম ও তার পিতার নাম পাশাপাশি তার স্থায়ী ঠিকানা, জায়গা তার স্থায়ী ঠিকানা সহযাবতীয় যে সকল কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় সেসব গুলোকে একত্রে জমির খতিয়ান বলা হয়।
জমির খতিয়ান চেক করার প্রয়োজন
বাংলাদেশের জমির ক্ষেত্রে অনেকেই প্রতারণা শিকার হয়ে থাকে। নতুন জমি কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই চেক করে নেওয়া উচিত যার থেকে জমি কেনা হচ্ছে সে কি জমির আসল মালিক কিনা। এটা চেক করার জন্য খতিয়ান দেখতে হয় আবার জায়গা জমির পরিমাণ ঠিক করা এবং বন্টনের ক্ষেত্রে খতিয়ান বের করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। ওয়ারিশ প্রাপ্ত জমির ক্ষেত্রে মৃত্যুর আগে ব্যক্তির মালিকানা চেক করা হয় যার জন্য খতিয়ান চেক করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম
বর্তমানে দুই নিয়মে যে কোন জমির খতিয়ান বের করা যায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ে যারা জড়িত তারা এই ধর্মীয় অনুসরণ করেই কার্য সম্পাদন করে থাকে। এর মধ্যে একটি হলো সেটেলমেন্ট অফিসের মাধ্যমে খতিয়ান চেক করার নিয়ম। আপনাকে প্রথমে সেটেলমেন্ট অফিসে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে জমির খতিয়ান এর ভলিউম চেক করতে হবে।। যদি খতিয়ানের ভলিয়মের মিল খুজে পান বা একই থাকে তাহলে আপনার খতিয়ান নেই কোন সমস্যা নেই।। তবে যদি খতিয়ানের ভলিউম একই রকম না হয়ে থাকে বা পাওয়া যায় তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার সাথে জালিয়াতি করা হয়েছে।বর্তমানে সময়ের সবচেয়ে সহজ ও সুবিধার জন্য উপায় হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে খতিয়ান দেখা বা বের করা। অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা খতিয়ান বের করতে গেলে আপনার ঘরে বসে সেটা করতে পারবেন বাইরে গিয়ে কোনরকম ঝামেলা করতে হবে না আপনাদেরকে। আপনারা ঘরে বসে খুব সহজেই যেকোনো স্থানে স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারের যেকোন ডিভাইস থেকে অনলাইনে খতিয়ান দেখতে পারবেন। অনলাইনে খতিয়ান বা রেকর্ড দেখতে হলে আপনাদেরকে ভূমি অফিসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে সেখান থেকে আপনারা এসব কিছু দেখতে পাবেন। এই ওয়েবসাইটে ঢুকে আপনাদেরকে প্রথমে আপনার, জেলা ও খতিয়ানের ধরন সিলেক্ট করতে হবে। পরবর্তীতে উপজেলা, মৌজা, দাগ নম্বর, খতিয়ান নং, মালিকানা নাম, পিতা বা স্বামীর নাম লিপিবদ্ধ করতে হবে। এই পর্যায়ে ক্যাপচার সাথে থাকা কোড নম্বর সেম টু সেম উঠিয়ে দেওয়ার পর একটি ক্যাপচা আসবে করার পরেই অনুসন্ধান করুন। এবং সেখানে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনার জমির খতিয়ান দেখতে পারবেন।
পরিশেষে, এই ছিল জমির খতিয়ান বের করার নিয়ম ও তার সাথে জড়িত যাবতীয় বিষয় সমূহ বিস্তারিত তথ্য। জমি সংক্রান্ত কিছু জানতে জানা থাকলে বা জানতে ইচ্ছে হলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। আমাদের সাথে থাকার জন্য এবং আমাদের পোস্টটি ভালোমতো পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।