অনলাইনে জিডি করার নিয়ম

জেনারেল ডায়েরি বা জিডি হল অপরাধ ও অন্যান্য সংবাদ বিষয়ক রেজিস্টার। ফৌজদারি কার্যবিধিতে বলা হয়েছে পুলিশ স্টেশন হলো ফৌজদারি জুরিস ডিকশনেরসর্বনিম্ন ইউনিট। যেখানে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী তাদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটে যাচ্ছে এমন সব ঘটনা সম্পর্কে আই নানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু সব ঘটনার জন্য এজাহার দায়ের করা যায় না। কাউকে কোন প্রকার প্রদর্শন করলে এজাহান না করে তা সাধারণত থানায় প্রকৃত সাধারণ ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে যাকে সংক্ষেপে জিডি বলা হয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা কারণে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কখনো কোনো হুমকির মুখোমুখি হলে কোন কিছু হারিয়ে গেলে বা স্কুলে যাওয়ার পথে শিকার হলে থানা জিডি করার কথা ভাবেন। কিন্তু কিভাবে জিডি করে হয়, তা অনেকেই জানেনা। এই আইনি সহায়তা পেতে একটি বিবরণ লিখতে হবে থাকা থানায় জমা দিতে হয়।। প্রাপ্তবয়স্ক যে কোন ব্যক্তি থানায় জিডি করতে পারবেন প্রতিটি থানা ও ফাড়িতে একটি সাধারণ ডায়েরি থাকে। এটি প্রতিদিন সকাল আটটায় খুলে পরবর্তীতে ২৪ ঘন্টার সংবাদ রেকর্ড করা হয়।
যেসব কারণে জিডি করতে পারবেন
জিডি হলএকটি থানার চলমান চিত্র। বিভিন্ন কারণে জিডি করা হয়।থানায় মালামাল যোগ্য নয় এমন ঘটনা ঘটলে আবার কাউকে ভয়-ভীতি দেখানো হলেই বা নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে কিংবা কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনের আশঙ্কা থাকলে জিডি করা হয়। এছাড়াও কোনো প্রয়োজনীয় ক, কাগজপত্র, পাসপোর্ট,, পরিচয় পত্র চেক বই বা গুরুত্বপূর্ণ দলিল হারানো বখাটে মাদক সেবী বা অপরাধীদের আড্ডা সংক্রান্ত তথ্য জনসৃঙ্খলা বিষ্ণু হতে পারে এমন অভদ্র সমাবেশ গৃহকর্মী দারোয়ানের নিয়োগ বা পালিয়ে যাওয়া নতুন বা পুরাতন ভারতের সংক্রান্ত তথ্য এবং প্রবাসীদের সমস্যার সংক্রান্ত অভিযোগ থানায় যে কেউ জিডি করতে পারে।।
কোথায় এবং কিভাবে করবেন
যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে বা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে সে এলাকায় থানাতে জিডি করা উচিত। নিজের এলাকার থানাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত তা না হলে আইনি সহায়তা নিতে ঝামেলা পোহাতে হয়। নিজের নাম এবং থানা নাম উল্লেখ করবো সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করতে হয়। যে বিষয়ে জিডি করতে চান তার নাম উল্লেখ করতে হবে। যেমন হারানো ব্যাপারে লিখিত পারেন। বিবরণ অংশে আমাকে বিস্তারিত লিখতে হবে যদি আপনাকে কেউ হুমকি দেয় তার নাম ঠিকানা এবং তাদের উল্লেখ করতে হবে। কিন্তু হারিয়ে গেলে তা বিস্তারিত বিবরণ এবং পারলে তার কোন নমুনা যেমন ছবি দরখাস্তের সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন।
জিডি তদন্ত
আনায় জিডি করা হলে তা যদি কোন আমলযোগ্য অপরাধ সংক্রান্ত বিষয় হয় তবে থানা কর্তৃক সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আমলে নিয়ে অপরাধটি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেবেন। থানায় যেসব বিষয় জিডি করা হয় সেসব বিষয়ের মধ্যে যেগুলো অদ্ভুতব্য অপরাধ এগুলো তদন্ত সম্পর্কে ফুল জারি কার্যবিধির ধারা ১৫৫ ধারায় বলা হয়েছে প্রথমবার দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের কোন পুলিশ কর্মকর্তা আমলযোগ্য নয় এমন মামলা তদন্ত করতে পারবেন না। উল্লেখ্য ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫৭ ধারায় বলা হয়েছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যদি মনে করেন যে সাধারণত ডায়রিটি তদন্তের জন্য যথাযোগ্য নয় তাহলে তিনি তদন্তের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জিডির গুরুত্ব
আইনগত সহায়তা লাভের জন্য জিডি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেবল একটি জিডির ভিত্তিতে একটি মামলা শুরু হতে পারে অথবা অপরাধের আশঙ্কা থেকে একটি জিডি করার পর সে অপরাধটি সংঘটিত হলে আদালত ওই জেডি শাক্য হিসেবে গৃহীত হয়ে থাকে ।তাই জিডির আইনগত গুরুত্ব অনেক তবে থানায় জিডি করার পর জিডিরনম্বরটি নিজের সংগ্রহে রাখতে হবে প্রয়োজনে জিডি রিসিভ কপি সংগ্রহ রাখতে হবে।
অনলাইনে জিডি
অনলাইনে জিডি করতে হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে citizen health request নামে একটি লিংক পাওয়া যাবে। লিংকটিতে ক্লিক করে অনলাইনে যেটি শপ করে আনতে ও তথ্য প্রদান করার তালিকা আসবে। যে ধরনের তথ্য দিয়ে জিডি করতে চান তা নির্বাচন করতে হবে। এবার তথ্য পূরণ করার খালি বক্স আসবে। তথ্যাবলী যথাযথভাবে পূরণ করে সাবমিট করলে সংশ্লিষ্ট থানায় আপনার তথ্যটি পৌঁছে যাবে। আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি শনাক্তকরণ নাম্বার পাবেন নাম্বারটি সংগ্রহ করুন চাইলে আপনার কোন মতামত নিয়ে সরাসরি পুলিশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মেইলেও পাঠাতে পারবেন।