তথ্য

অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলের আবেদন ২০২৩

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩ অবহিত করন।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনলাইনে বদলে এর আবেদন গ্রহন আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে। একই উপজেলার মধ্যে বদলি হতেও অনলাইনে আটই জানুয়ারি পর্যন্ত সহকারী শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারবেন। তিনি জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকদের একই উপজেলার মধ্যে আবেদন অনলাইনে নেওয়া হবে।  অধিদপ্তরের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী শিক্ষকরা সর্বোচ্চ তিনটি স্কুল পছন্দ দিতে পারবেন। তবে কোন শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধু একটি বা দুইটি স্কুল পছন্দ দিতে পারবেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বদরের আদেশ জারি করা হলে তা বাতিল করার জন্য কোন আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রাইমারি শিক্ষক বদলির আবেদন করতে পারবেন অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে।

অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষক বদলি

দলিল আবেদন প্রক্রিয়ায় শুরু হবে ৩ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ থেকে ৮ জানুয়ারী ২০২৩ পর্যন্ত শিক্ষকরা বদলের আবেদন করতে পারবেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে প্রথম পেজে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগইন করতে হবে। অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের ধাপ ব্যবহারকারীরা ধরুন এখনো আপনাকে পদবী যেমন: সহকারী শিক্ষ/ প্রধান/ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার/ উপজেলা শিক্ষা অফিসার/ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার/ বিভাগীয় উপ পরিচালক/ করতে হবে। শিক্ষক পিন নম্বর প্রাইমারি থেকে প্রাপ্ত অথবা মোবাইল নম্বর ই প্রাইমারি স্কুল সিস্টেম ব্যবহৃত তথ্য গুলো সঠিকভাবে দিয়ে লগইন করুন।

লগইন করুন বাটনে ক্লিক করলে পরবর্তী ধাপে ই প্রাইমারি স্কুল সিস্টেমে নিবন্ধিত শিক্ষকের তথ্য শিক্ষকের নাম, স্থায়ী ঠিকানা, পদবী, যোগদানের তারিখ, বর্তমান কর্মরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বদলিতে আগমনের তারিখ, কর্মরত প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত পদের সংখ্যা, ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা দেখাবে। গুলো সঠিক হলে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার বাটনে ক্লিক করতে হবে।

অনলাইনে যেভাবে বর্তমানে সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬ টি। এগুলো মোট শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। ওর নতুন করে আরো ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের কার্যক্রম চলবে বছরের প্রথম তিন মাস জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ের মধ্যে। ওই সময় ওই উপজেলা বা থানা, আন্ত উপজেলা বা থানা, আন্তজেলা ও আন্ত বিভাগের বদলী করা হবে শিক্ষকদের। তবে কোন প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হলে বছরে অন্য সময়ও বদলি করা যাবে। এ বদলির জন্য আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন আবেদন শুরু হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষায় সংশ্লিষ্ট কোন শিক্ষক কর্মচারী আচরণবিধির লংঘন করলে বাস-শৃঙ্খলাজনিত কারণে সরাসরি বদলি করা যাবে না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উপ-পরিচালকরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেষ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসনিক বদলি জন্য মহাপরিচালক বরাবর সুপারিশ পাঠাবেন। প্রশাসনিক বদলির ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের তুলনামূলক কর্মস্থলে না দেওয়ার বিষয়ে জানানো হয়।

যেভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি করা হয়

নতুন পদ্ধতি অনুসারে বদলি প্রত্যাশী শিক্ষক অনলাইনে আবেদন করবেন। এরপর সেটি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রাথমিকভাবে যাচাই করবেন তিনি অফ সফটওয়্যার ব্যবহার করে যাচাই করে দেবেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। পাঠাবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। ডিপিইউ সেটি মঞ্জুর করার পর আবার সেটি উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেবেন তিনি তখন প্রতি রাত বিষয়ে আদেশ জারি করবেন এবং শিক্ষক সেটি অনলাইনে জেনে যাবেন। তিন ধাপের এ যাচাই প্রক্রিয়া প্রত্যেক দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা তিন দিনের মধ্যে সম্পন্ন করবেন। এই তিনদিনের মধ্যে যাচাই করে নিষ্পত্তি না করলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাতায়াতির জন্য নিয়োজিত পরবর্তী ব্যক্তির কাছে চলে যাবে। তখন নিষ্পতি না করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।

আপাতত বদলির এই কার্যক্রম ঢাকা সহ ১১ টি মহানগরের বন্ধ থাকবে। মহানগরের ক্ষেত্রে আলাদা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে তাই মহানগরের বাইরে কর্মরত কোন শিক্ষকের মহানগরে বদলি হওয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না।

সহকারি শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু মহামারি করোনার কারণে পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভব হয়ে উঠেনি। ইতিমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরো দশ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পথ শূন্য হয়ে পড়েছে।  বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তি শূন্য পদ অভিজ্ঞতির পরে শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

দুই ধাপে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে। প্রথম ধাপে আগামী ২২ এপ্রিল পরীক্ষার আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তবে এটি চূড়ান্ত নয়। আর পরবর্তী ধাপের পরীক্ষা ঈদের পর হতে পারে গত 15 মার্চ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক আলমগীর মোঃ মনসুরুল আলম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বলা হয়, আগামী ৮ই এপ্রিল থেকে সরকারি প্রাথমিকের ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদের নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হতে পারে। পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ পরীক্ষা আগামী ১৩ই মে শেষ হবে।

Comment Here