অনলাইনে বেতন বিল দাখিল পদ্ধতি 2023

বাংলাদেশ সরকার অনলাইনে বেতন বিল সাবমিট সুবিধা চালু জন্য আইএমডি প্লাস প্লাস চালু করেছে। ইলেকট্রনিক ফাউন্ড ট্রান্সফার সিস্টেমে বেতন ব্যাংকে প্রেরনের জন্য অনলাইনে বেতন বিল দেখলে সুবিধা রাখা হয়েছে। শুরুতে যদিও শুধুমাত্র কর্মকর্তাদের এই সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের যেকোন স্থানে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কর্মকর্তাগণ বেতন করতে পারবেন। অনলাইনে বেতন বিল দাখিল নিয়ে কেউ কেউ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এসব বিষয়ক কিছু ভুল ধারণা রয়েছে যেমন-
১. অনলাইনে বেতন বিল দাখিল বাধ্যতামূলক নয়। এমনকি সেজিয়ে বা অর্থ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে কোন ধরনের নির্দেশনা জারি করা হয়নি। বিষয়টি চলছে সম্পূর্ণ পরীক্ষামূলকভাবে। প্রথমে অর্থ বিভাগের বেশ কিছু কর্মকর্তার বিল অনলাইনে দাখিল এর মাধ্যমে উদ্যোগটি শুরু হয় তারপর আই এমডি তে এটি চালু করা হয়। এরপর বড় আকারে চালুর উদ্যোগ নেয় ডিসিএ রাজশাহী। এই তিন হিসাব রক্ষণ অফিসে অনলাইনে বিল দাখিল মোটামুটি মসৃণ ভাবে চলছে। এর বাইরে যারা অনলাইনে করেছেন বা করতে চান তাদের সংশ্লিষ্ট হিসাব রক্ষক অফিসের সাথে আলোচনা করে ভালো হবে।
২. Gf আর এর বর্তমান বিধান অনুযায়ী বেতন বিলের স্বাক্ষরিত কপি হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে দাখিল করতে হবে। কেউ কেউ নিজ বিবেচনায় এ নিয়ম ভঙ্গ করে করলেন হিসাব রক্ষণ অফিস তা কিভাবে গ্রহণ করবে হিসাবরক্ষণ অফিসকে আর্থিক বিধি বিধান কাজ করতে হবে।
৩. আমাদের হিসাব রক্ষণ অফিসগুলো নানান সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে কাজ করে। ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত সরকারের বাজেট বেড়েছে আগুন আর হিসাব রক্ষণ অফিসের লোকবল কমে হয়ে তিন গুণে এক ভাগ হয়েছে। সেবা গ্রহী তাদের এ বিষয়টিও বিবেচনা করার প্রয়োজন।।
৪. যেকোনো সংস্কার কর্মকাণ্ড হচ্ছে গাছ লাগানোর মত। শুরুতেই ফল পাওয়ার যায় না ধৈর্য ধরতে হয়। অনলাইনে বিল দাখিল আমাদের হিসাব রক্ষণ পদ্ধতিতে বড় ধরনের সংস্কারের একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। উদ্দেশ্য সেবা গ্রহিতাকে এই পদ্ধতির অংশ করা এবং স্বচ্ছতা আনা। আইবাস প্লাস প্লাসএ এখন একজন কর্মকর্তা নিজে লগইন আইডি তৈরি করে তার কর্তন ঋণ ও অগ্রিম ফেরত জিপিএফ ইত্যাদির তথ্য দেখতে পারছেন। এর উপর ভিত্তি করে একসময় এলপিজি উঠিয়ে দেওয়া যাবে অবসরে যাওয়ার ঝামেলা মুক্ত হবে।
ডিডিও গন যেন অনলাইনে বিল দাখিল করতে পারেন সেই ব্যবস্থা আইবাস প্লাসে যুক্ত করা হয়েছে যা আরো ক্ষুদ্র পরিসরে পরীক্ষা দিন রয়েছে। এই সুবিধাগুলো পুরোপুরি চালু হতে সকল তথ্য সঠিকভাবে এন্ট্রি হতে সময় লাগতে পারে। সেই পর্যন্ত ধৈর্য ধরা এবং নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করা প্রয়োজন তা নাহলে এর সুবিধা গুলো শেষ পর্যন্ত হয়তো বাতিল হয়ে যেতে পারে। গাছের চারা লাগিয়ে পরদিন থেকে পাকা ফল পাচ্ছিনা কেন বলে ক্ষোভ বিক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকলে গাছই দরকার আছে কিনা প্রশ্ন করতে থাকলে তার সুবিবেচনা পশু তো হবে না। তাতে গাছটি হয়তো যত্নের অভাবে অকালে শুকিয়ে যেতে পারে।
নানা সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আইবাস প্লাস প্লাস বাস্তবায়নে আমাদের হিসাব রক্ষণ অফিসগুলো যে অকল্পনীয় সাফল্য দেখিয়েছে তা সত্যি তুলনাহীন। বাংলাদেশের এরকম নজির আর আছে কিনা সন্দেহ। কোন কোন ক্ষেত্রে একজন কর্মকর্তাকে তিনটি উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস চালাতে হচ্ছে। সারাদিন রোজা রেখে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করা করছেন তারা। তাদের কাজের অংশ হতে পেরে নিজেকে গর্ববানী তো মনে করি। তাদের নানা সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে ধৈর্য ধারণ করা এবং আর্থিক বিধান মেনে চলার জন্য সেবা গ্রহীতাগণের প্রতি অনুরোধ করছি।