জন্ম নিবন্ধন অনলাইনে করার নিয়ম 2023

আপনাদের জেনে রাখা ভালো কিভাবে অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম করেন পূরণ করবেন, কি কি কাগজপত্র লাগবে, জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করার নিয়ম ও আবেদন ফি কত। আপনি যদি আপনার শিশু বা অন্য কারো জন্য জন্ম নিবন্ধন করতে চান এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক কাজে আসবে। কারণ নতুন অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করা শহর সবকিছু আমরা এখানে দেখাবো। বর্তমানে আর হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করে আবেদন করা যায় না। আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে হবে
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুসারে শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বিভিন্ন অসুবিধার কারণে ৪৫ দিনের মধ্যে করতে না পারলেও আমরা পরামর্শ থাকবে আপনার শিশুর পাঁচ বছরের মধ্যে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন করিয়ে নিবেন। অন্যথায় পাঁচ বছর বয়স অতিক্রান্ত হলে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হয় ঝামেলা পোহাতে হয়। নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন সংশোধন ও অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন জাতীয় সংগঠনের বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের লিঙ্কটি অবশ্যই ফলো করবেন। জন্ম নিবন্ধন করতে যা যা লাগে সেগুলো হল- ই পি আই টিকাকার বা হাসপাতালে ছাড়পত্র, হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ অথবা জমির খাজনা পরিষদের রশিদ, আবেদনকারীর পিতা বা মাতার মোবাইল নম্বর। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিন্ন হতে পারে। কাগজপত্র প্রয়োজন হবে শিশুর বয়স জিরো থেকে 45 দিনের মধ্যে হলে ইপিআই বা হাসপাতালে ছাড়পত্র, বাসার হোল্ডিং নম্বর এবং হালসনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ, আবেদনকারীর পিতা মাতা অভিভাবকের মোবাইল নম্বর, পিতা ও মাথার জন্ম নিবন্ধন কপি যদি থাকে, পিতা ও মাতা জাতীয় পরিচয় পত্রের কবি।
আবার অন্যদিকে শিশুর বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর হলে যা যা কাগজপত্র লাগে সেগুলো হল- ইপিআই কার্ড বা স্বাস্থ্যকর্মীর প্রত্যয়ন পত্র, পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি, পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের কবি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়ন পত্র, আশার হোল্ডিং নম্বর এবং হালসনের হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ, আবেদনকারীর পিতা-মাতা বা অভিভাবকের মোবাইল নম্বর, জন্ম নিবন্ধন ফরম অনলাইন আবেদন জমা দেওয়ার সময় এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
পাঁচ বছরের বেশি শিশু বা ব্যক্তির জন্য- বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসা কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র, সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপন, জুনিয়ার স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড করতে করে তো মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট, পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি, পিতা ও মাতা জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, অথবা জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণের জন্য পিতা/ মাতা/ পিতামহ দ্বারা শোনাবে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাসস্থলের বিপরীতে হালনাগাদ গড় রূপ পরিষদে প্রমাণ পত্র, অথবা জমি কিংবা বাড়ি ক্রয়ে দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধের রশিদ।
জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা
পরবর্তীতে আপনার আবেদনটি অনুমোদন হয়েছে কিনা তার অবস্থা জানতে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে পারবেন অনলাইন থেকে।। আপনার আবেদন করার পর অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন চেক করে জেনে নিন আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন হয়েছে কিনা। আবার আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন বাতিল করতে চান সে ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল করার জন্য আপনাকে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা অফিস যেখানে আবেদন করেছে সেখানে যেতে হবে। বেতন বাতিলের জন্য অবশ্যই আবেদনের অ্যাপ্লিকেশন আইডি জানতে হবে। আবেদনটি কেন বাতিল করতে চান তার কারণ দেখি আবেদন বাতিল করার জন্য অনুরোধ করুন। এছাড়া নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে জমা না দিলে তা স্বয়ংক্রিয় বাতিল হয়ে যাবে। যদি আপনার আবেদন কোন প্রকার ভুল করে থাকেন আবেদন বাতিল করে আবার নতুন ভাবে ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। অফিস গিয়ে বাতিল না করতে পারলে সে ক্ষেত্রে ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে এরপর আবার আবেদন করা যাবে।
পরিশেষে
একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকেরই দরকার সঠিক তথ্য দিয়ে জন্ম নিবন্ধন তৈরি করা। কারণ এই জন্ম নিবন্ধন বা জন্ম সনদের তত্ত্বকে কেন্দ্র করে আমাদের সকল সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে ভোটার আইডি কার্ড পর্যন্ত সব তথ্য দেওয়া হয়। তাই নির্ভুল জন্ম সনদ আমাদের প্রত্যেকেরই দরকার।