কিছু কথা

টাংগুয়ার হাওর নিয়ে কিছু কথা

সম্মানিত পাঠক আপনাদের মাঝে আজকে আমরা বাংলাদেশের ঐতিহাসিক একটি স্থান নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা তুলে ধরব।যে স্থান সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই অনলাইনে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। আমাদের আজকের এই আলোচিত স্থান টি হচ্ছে সিলেটের টাংগুয়ার হাওর। অর্থাৎ আমরা আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি সিলেটের টাঙ্গুয়ার হাওয়ার নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা। আমাদের আজকের এই আলোচনায় আমরা আপনাদের মাঝে টাংগুয়ার হাওর নিয়ে বেশ কিছু সঠিক তথ্য তুলে ধরব। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্টটি থেকে টাংগুয়ার হাওর সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং বাংলাদেশের সৌন্দর্য অবলোকন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দ্বারা নিজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।এর প্রতিটি স্থানে এমন কিছু ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে যেগুলো প্রতিটি মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে টাংগুয়ার হাওর।যেটি বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে অবস্থিত।এটি সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার একটি জনপ্রিয় হাওর।এই হাওর টা সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ১০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। বাংলাদেশের যেসব মিঠা পানির হাওর রয়েছে তার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম হাওর হচ্ছে টাংগুয়ার হাওর।একে মিঠা পানির জলাভূমি বলা হয়। স্থানীয় লোকজন একে চমৎকার নামে আখ্যায়িত করে থাকে। স্থানীয় লোকজন এর চমৎকার নামটি হচ্ছে নয় কুড়ি কান্দার ছয় কুড়ি বিল। প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষরা এই হাওর টি দেখার জন্য এসে থাকে।

টাংগুয়ার হাওর নিয়ে কিছু কথা

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি নিয়ে গঠিত। এদেশের ভুখন্ডে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে যেগুলো প্রকৃতি প্রেমী মানুষ ও সৌন্দর্য প্রিয় মানুষদের কাছে প্রধান আকর্ষণ। বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক স্থান গুলো প্রতিনিয়ত দেখার জন্য অনেকেই ভিড় করে থাকেন।এই সৌন্দর্যমন্ডিত স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে টাংগুয়ার হাওর। অনেকেই এই হাওর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকে। আজকে তাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটে টাংগুয়ার হাওর নিয়ে কিছু কথা সম্পর্কিত এই পোস্টটি। আমাদের আজকের এই পোস্ট এর মাধ্যমে আপনারা টাংগুয়ার হাওর সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনি আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান সম্পর্কে জেনে নিয়ে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারবেন। নিচে টাংগুয়ার হাওর নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরা হলো:

টাঙ্গুয়ার হাওরের রূপের বিবরণ লিখে শেষ করার মতো নয়। বর্ষা ও শীতএই দুই মৌসুমে দুই রকমের সৌন্দর্যে অপরূপ হয়ে ওঠে এই হাওর। তবে পর্যটকদের মতে, এই হাওর তার আসল সৌন্দর্যে সাজে বর্ষাকালে। এ সময়ে পানিতে থই থই করে চারদিক। চাইলে নৌকা থেকে নেমে লাইফ জ্যাকেট পরে সাবধানতার সঙ্গে ভেসে বেড়ানো যায় পানিতে, আর উপভোগ করা যায় আশপাশের সবুজের মহিমা। কিছু কিছু জায়গায় এই হাওরের পানি এতটাই স্বচ্ছ যে পানির নিচের জলজ উদ্ভিদ কিংবা মাছ দেখা যায় খালি চোখেই।টাঙ্গুয়ার হাওরের অন্যতম আকর্ষণ হলো নৌকায় থাকার দিনগুলো। এই অভিজ্ঞতাটিই টাঙ্গুয়ার হাওরের ট্যুরকে আলাদা করে অন্য সব ট্যুর থেকে। বৃষ্টির সময়ে নৌকায় বসে চায়ের চুমুকে দূর মেঘালয়ের পাহাড়গুলোর দৃশ্য যেন জাগিয়ে তুলে যে কারও ভেতরের কবিকে।

উদরপূর্তির জন্যও টাঙ্গুয়ার হাওর সবার পছন্দের। এই হাওরকে বলা হয় দেশি মাছের আধার বা ‘মাদার ফিশারিজ’। তাই প্রায় প্রতি বেলাতেই খাবারের ব্যবস্থায় থাকে নানান রকমের মাছের আয়োজন। আর যারা হাঁসের মাংস খেতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য থাকে হাওর এলাকার হাঁসের মাংসের ব্যবস্থা। নৌকার ছাদে বসে আশপাশের সৌন্দর্য পর্যবেক্ষণের সঙ্গে খাবারের আয়োজন, যা খাবারের স্বাদকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ।প্রতি মৌসুমে যেমন হাওর সাজে ভিন্ন রূপে, ঠিক তেমনি প্রতি বেলাতেও এর সাজ একেক রকম। ভোরবেলা হাওর থাকে সুনসান এবং স্নিগ্ধ, কিছুক্ষণ পর হাওর হয়ে ওঠে পাখির কলকালিতে পূর্ণ। দুপুর ও বিকেলে দেখা যায় হাওর ও এর চারপাশের বাসিন্দাদের যাপনচিত্র। আর সূর্য ডোবার সময়ে সম্পূর্ণ হাওর ঢেকে যায় সোনালি রঙের চাঁদরে। রাতের ঝকঝকে আকাশে মিটমিট করে তারার মেলা। সৌন্দর্যের এই আমেজে মেতে ওঠেন নৌকার মাঝি নিজেও। তাই সন্ধ্যার পর এই হাওরে প্রায়ই বসে বাউলগানের আসর।

Comment Here