ডাল তৈরির রেসিপির উপকরণ, মশলা, ও পিকচার

বাঙালিকে মাথা বলা হলে আসল অর্থের ডাল ছাড়া অনেকটাই অসম্পূর্ণ। এখন এমন সময় দাঁড়িয়েছে যেখানে মাছ থাকলেও ডাল চাই। নানান সাধের পদের সঙ্গে নানান রকমের ডাল মুখ, মসুর,আরোহ, মটর এমন আরো অনেক রকমের ডাল আমরা খেতে ভালবাসি। কিন্তু অনেকে হয়তো জানেন না কোন ডাল কেমন করে রান্না করলে শরীরের জন্য ভালো। ছোলার ডাল হোক বা বিউলির ডাল রান্নার আগে ভিজিয়ে রাখতে হবে।এমন দেখা যায় অধিকাংশ বাড়েতে কারণ আগেকার মানুষ এভাবে ডাল রান্না করতে ভিজিয়ে রেখে। তাদের দেখে শিখে নিয়েছেন এই কালেরগিনেরাও এর কারণ হতে পারে এর কি অন্য কোন কারণ আছে ডাল ভিজিয়ে খেলে তার অনেক সুবিধা রয়েছে। এই সমস্ত সুবিধা বিশেষত্ব আপনার স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত দেখে নেয়া যাককিভাবে ডাল রান্না করা যায়।
উপকরণ
সাধারণত ডাল রান্না করতে হলে যেসব উপকরণ লাগে সেগুলো হ্যালো এক কাপ ডাল, আদা বাটা এক চামচ, রসুন বাটা এক চামচ, পেয়াজ তিন থেকে চার টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ এক চামচ, হলুদ এক চামচ, শুকনো মরিচের গুড়া, এক চামচ ধনিয়া, সাদমত লবণ, ও রসুন কুচি এসব দিয়ে আপনারা খুব সহজেই সুন্দর করে ডাল রান্না করতে পারেন।
প্রণালী
প্রথমে একটা পাত্রে ডাল নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর হাড়িতে ডাল নিয়ে তাতে পেঁয়াজ,জ আদা রসুন বাটা, হলুদ, শুকনো মরিচের গুড়া ও ধুনীয়া দিতে হবে। বলে রাখা ভালো দোকানেআদা ও রসুনের মিক্স পাওয়া যায় আপনারা সেটিও ব্যবহার করতে পারেন। সাথে পরিমাণ মতো পানি যুক্ত করে হাড়িতে করে চুলায় চাপিয়ে দিতে হবে। পানির পরিমাণ কতটুকু দিলে সবচেয়ে ভালো হবে সেটার জন্য আপনারা ডাল সিদ্ধ দিয়ে একটু দেখতে পারেন। এক কাপ ডালের জন্য প্রায় চার থেকে ছয় কাপ পানি দিলে মনে হয় হয়ে যাওয়ার কথা এরপর চুলার জাল পুরোপুরি বাড়িয়ে দিয়ে বলক আসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। বলক এসে গেলে চুলার জ্বাল কমিয়ে খুব কম নয় মাঝারি রাখলেই হবে আরো দুই থেকে তিন ঘন্টা ডাল সিদ্ধ করতে হবে।তবে ডালে তুলনায় পানির পরিমাণ কম হলে তলায় ধরে যাওয়া সম্ভাবনা কাছে তাই একটু পরপর এসে দেখাটা ভালো। তাহলে সিদ্ধ হয়ে আসলে কয়েকটা কাঁচামরিচ আর লবণ দিয়ে খানিকক্ষণ নাড়াচাড়া করে ঝুলা বন্ধ করে দিতে হবে। চাইলে কিছু ধনিয়া পাতা দেওয়া যেতে পারে এবার আরেকটা হাতে খানিকটা তেল ও পেজ খুঁজে নিয়ে খানিকক্ষণ ভাজতে হবেপেঁয়াজ মোটামুটি হয়ে গেলে রসুন দিয়ে আরো কিছু খানিকক্ষণ নাড়াচাড়া করতে হবে রসুন পরে দেওয়াটা ভালো কারণ পেঁয়াজের সাথে রসুন দিলে রসুন আগে পুড়ে যায়। তারপর সেটা ডালের মধ্যে দিয়ে বাগার সহজ বাংলা ভাষায় দিয়ে দিবেন ঘটে তাহলেই আপনাদের তৈরি হয়ে গেল ডাল।