দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো জেনে নিন

একজন নারী যখন দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হন তখন গর্ভবতী হওয়ার কিছু লক্ষণ অনুভব করা যায়। যে লক্ষণ গুলো ওই নারী শরীরের ঘটলে সে নিশ্চিত হতে পারে যে সে দ্বিতীয়বারের মতো গর্ভবতী হয়েছে। একজন নারীর প্রথমবার গর্ভবতী হওয়ার তুলনা দ্বিতীয়বার গর্বভূত হওয়ার লক্ষণগুলো সে আগে থেকে খুব সহজেই বুঝে নিতে পারে। প্রথমবারে অনেক নারীরা বুঝতে পারে না যে সে গর্ভধারণ করেছে কিনা তবে দ্বিতীয়বারের কিছু কিছু লক্ষণের মাধ্যমে মায়েরা বুঝতে পারে যে সে গর্ভবতী। আজকের আমাদের মূল আলোচনা হবে দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে কিছু তথ্য। আমরা আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলে যেসব লক্ষণ গুলো একজন মায়ের শরীরের ফুটে উঠে সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক।
পিরিয়ড মিস হয়ে যাওয়া
গর্ভবতী হওয়ার প্রধান লক্ষণ হলে পিরিয়ড মিস হয়ে যাওয়া। প্রত্যেকটি মেয়েরই প্রতি মাসে মাসে পিরিয়ড হয়ে থাকে তবে একজন বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে যাওয়া মানে সে হয়তো গর্ভবতী হয়েছে। পিরিয়ড মিস হয়ে যাওয়ার পরও বিশেষ কিছু লক্ষণ রয়েছে সেই লক্ষণগুলো যদি একজন নারী শরীরে ফুটে উঠে তাহলে বোঝা যাবে যে সে দ্বিতীয়বারের মতো গর্ভধারণ করেছে। একজন মেয়ের ক্ষেত্রে গর্ভধারণ প্রথম লক্ষণগুলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে একই হতে পারে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে একই মায়ের প্রথম গর্ভ অবস্থা এবং দ্বিতীয় গর্ভাবস্থার লক্ষণ গুলো দুরকমই হতে পারে।
পেটে গ্যাস হয়ে যাওয়া
গর্ভবতী হওয়ার আগে প্রথম লক্ষণ দেখা দিবে পেটে গ্যাস হওয়া। অধিকাংশ মেয়েদের গর্ভবতী হওয়ার পর পেটে প্রথম প্রচুর পরিমাণে গ্যাস তৈরি হয় এবং তার নির্গত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। বর্তমানে প্রত্যেকটি গর্ভবতী মায়েদের এই গ্যাসের সমস্যা ভুক্ত হচ্ছে নানা রকমের খাবার দাবারের জন্য। বাজারে যেসব খাবার আমরা খেয়ে থাকি মাছ মাংস ডিম অথবা সবুজ শাকসবজি সবকিছুই এখন পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ এবং সার দিয়ে উৎপাদন করে থাকে তাই এসব খাবার খাওয়ার কারণে গর্ভবতী মায়েদের গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায়।
স্তন ব্যথা, বুক জ্বালা করা, ঘনঘন প্রস্রাব
একজন গর্ভবতী মায়ের বুক সেটা প্রথম গর্ভাবস্থা অথবা হোক সেটা দ্বিতীয় গর্ব খ্রিস্টাব দুইবারে ব্যবস্থা তে গর্ভবতী হওয়া শুরুতেই সে মায়ের স্তন ব্যথার একটি লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেয়ে যেতে পারে। এছাড়া স্পর্শকাতরতা ও বেড়ে যায় কোন কোন মায়েদের ক্ষেত্রে। গর্ভবতী মায়েদের হজম শক্তি পরিবর্তন হওয়ার কারণে এতে বুক জ্বালার মত সমস্যা প্রায় গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। হজম শক্তিতে পরিবর্তন হওয়ায় ভাজাপোড়া ও কফি পাকস্থলীতে গেলে জ্বালাপোড়া বেশি হতে পারে এছাড়া বমি বমি ভাব দেখা দেয়। গর্ভবতী মায়েদের আরেকটি প্রধান লক্ষণ হল ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। একটি মা গর্ভবতী হন ঠিক তার প্রথম সকাল থেকে মায়ের প্রস্তাব ঘন ঘন হতে শুরু করে। যার ফলে তাকে একটু পরপর বাথরুমে যেতে হয় এটি হল অনেক অংশ বোঝা যায় যে সে গর্ভবতী।
ক্ষুদামন্দা ও মাথা ঘুরানো, খাবারের প্রতি অনীহা
একজন মা যখন গর্ভবতী হন তার প্রথম থেকে পেটে খাবার না থাকলে ক্ষুধা লাগে না এবং সব খাবার এই কেমন একটা বিরক্ত কর গন্ধ লেগে থাকে। এছাড়াও মাথা ঝিমঝিম করে এবং শরীর দুর্বল অনুভব করে তবে অনেক মায়ের ক্ষেত্রে লক্ষণ গুলো নাও হতে পারে। আবার একই মায়ের ক্ষেত্রে প্রথম গর্ভাবস্থা হয়তো এই লক্ষণগুলো ফুটলেও গর্ভ অবস্থায় লক্ষণ গুলো হয় না। একজন নারী যখন গর্ভবতী হন তখন থেকে তার খাবারের প্রতি একটা অনিহা সৃষ্টি হয় আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যেসব খাবার গুলো ওই মা আগে থেকে পছন্দ করেন না গর্ব অবস্থায় সেই সব খাবারগুলো তার ভীষণভাবে খেতে ইচ্ছা করতে পারে। এটিও গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ।
আশাকরি আমাদের পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে আমাদের পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।