কিছু কথা

নারী দিবসের তাৎপর্য

৮ই মে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিকভাবে নারীদের উদযাপন করা হয়। নারী দিবস উদযাপনের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের মাঝে নারী জাতির গুরুত্ব ও অবদান তুলে ধরা হয়। তাইতো আজকে আমি আপনাদের সকলের মাঝে নারী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যই নিয়ে এসেছি আমাদের আজকের নারী দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কিত এই পোস্টটি। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে নারী দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সেইসাথে সারা বিশ্বের প্রতিটি নারীর প্রতি সম্মান ও প্রদর্শন করতে পারবেন। আমরা আপনাদের মাঝে আমাদের আজকের এই পোস্ট টিতে নারী দিবসের ইতিহাস ঐতিহ্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেছি। যার মাধ্যমে আপনারা প্রত্যেকে নারী জাতির গুরুত্ব ও অবদান উপলব্ধি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাদেরকে সহায়তা করবে।

বিশ্বের পুরুষদের পাশাপাশি প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। তারা শুধুমাত্র ঘরের কাজ কিংবা সন্তান লালন পালন করার ক্ষেত্রে নিয়োজিত নয় বরং ঘরের কাজ সামলিয়ে তারা এখন সমাজ ও অগ্রগতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায় প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অবদান অতুলনীয়। নারীদের এই অতুলনীয় অবদান সকলের মাঝে তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর আটই মে সারা বিশ্ব জুড়ে নারী দিবস পালন করা হয়। এই দিবস পালনের মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি নারীর প্রতি সম্মান ভালোবাসা প্রদর্শন করা হয় সেই সাথে সকলের মাঝে নারী দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। প্রতিটি মানুষকে নারীর অবদান সম্পর্কে জানানো হয়। এই দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের গুরুত্ব ও তাদের অবদান সম্পর্কে জানতে পারি।

নারী দিবসের তাৎপর্য

প্রতি বছর ৮ই মে আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব নারী দিবস পালন করা হয়। এই দিবসটির ইতিহাস সম্পর্কে জানলে আমরা নারী দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারি। তাই তো আমরা আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছি নারী দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কিত আজকের এই পোস্টটি। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে নারীদের সাথে তাৎপর্য সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আপনার বন্ধু-বান্ধব পরিচিতি সকলের মাঝে নারীদের গুরুত্ব ও অবদান সম্পর্কে জানাতে আমাদের আজকের এই পোস্টটি তাদের নিকট শেয়ার করে দিতে পারবেন। এছাড়া সকলের মাঝে নারী জাতির গুরুত্ব তুলে ধরতে আমাদের আজকের এই নারী দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কিত পোস্ট টি শেয়ার করে দিতে পারবেন। নিচে নারী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরা হলো:

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারীর সমঅধিকার, মর্যাদা এবং অসম শ্রম মজুরির প্রতিবাদের ক্ষেত্রে দিনটির তাৎপর্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ১৮৫৭ সালে কর্মজীবী নারীদের শিল্প-কারখানা শ্রম সময় কমানো, মানবিক আচরণ-বিধির প্রয়োগ, শ্রম মজুরির বৈষম্য দূরীকরণসহ আরও অন্যবিধ স্বাধীনতা প্রদানকে কেন্দ্র করে নারী শ্রমিকরা রাজপথে নেমে আসে। আর এসবের সূচনা করা হয় নিউইয়র্কের সুতা কারখানার অসংখ্য নারী শ্রমিকের পক্ষ থেকে। অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এই ঐক্যবদ্ধ মিছিলে সরকারী বাহিনীর দমন-পীড়ন সারা বিশ্বকে হতবাক করে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে সামনেও চলে আসে। নারীর প্রতি অমানবিক আচরণ এবং অধিকার হরণের করুণ আখ্যান। নারীর এই ন্যায্য দাবি এবং বঞ্চনার ইতিহাসে বিক্ষুব্ধ হয় বিভিন্ন দেশের নারী নেত্রীরাও। সম্মিলিতভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে নারী নেত্রীরাও। সম্মিলিতভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে থাকে নারীর প্রতি এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে সোচ্চার হতে থাকে বিশ্বের অসংখ্য নারী শ্রমিক। ঘটনার পথপরিক্রমায় কেটে যায় আরও অর্ধশত বছর। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা নারী শ্রমিকরা সংগঠিত হতে থাকে এবং একটি সুদৃঢ় আন্দোলনের কাঠামোও প্রস্তুত হয়ে যায়। এই বিরাট কালপর্বে নারীর প্রতি অসাম্য, বৈষম্যের মাত্রা তো কমেইনি বরং আরও বাড়তে থাকে। শ্রেণী বিভক্ত সমাজে মালিকানার মূল শক্তিটা যাদের হাতে থাকে তারাই সামগ্রিক উৎপাদনের নিয়ন্ত্রক হিসেবে বিবেচিত হয়। আবার এই আধিপত্য বিস্তারকারী মালিক পক্ষ সমাজের সংক্ষিপ্ত একটি গোষ্ঠী। আর সিংহভাগ হলো সাধারণ শ্রম বিনিয়োগ শ্রেণী যারা পুরো উৎপাদনের মূল চালিকাশক্তি। আর এই শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর প্রায়ই অর্ধাংশ নারী। উৎপাদনের মূল কর্মক্ষম শক্তি হিসেবে শোষণ আর বঞ্চনার শিকার নারী-পুরুষ সবাই। কিন্তু সামাজিক অব্যবস্থার কারণে দুর্বল এবং পিছিয়ে পড়া অংশ হিসেবে নারীরা এক্ষেত্রে অনেকখানিই এগিয়ে।

Comment Here