পাটিসাপটা পিঠার রেসিপির উপকরণ, ও প্রস্তুত প্রণালী

বাংলাতে আজও হেমন্ত ঋতুতে কৃষকের ঘরে ফসল উঠলে আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসব। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকে শীতকাল অব্দি বাংলাদেশের শুধু শীতকালেই নয় যেকোনো সময় পিঠা মেলার গ্রামের উৎসব শুরু হয়। তবে শীতের সঙ্গে পিঠার সম্পর্ক বেশ নিবিড় শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর ও খেজুরের রস পিঠা খাওয়ার মজা দারুন ভাবে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু বিদেশে নয়ন খাবারের বেড়াজালে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে শহরের নাগরিকদের মাঝে এ সকল পিঠা গুলির মধ্যে অন্যতম হলো পাটিসাপটা।
বাংলাদেশের পিঠা
বাংলাদেশের একেক অঞ্চলের রয়েছে একেক রকমের পিঠা। তবে একই পিঠা একই এলাকায় এগুলো ভিন্ন নামে পরিচিত।বাংলাদেশে ১৫০ বা তার বেশি বেশি রকমের পিঠা থাকলেও মোটামুটি ত্রিশ ধরনের পিঠার প্রচলন আছে। সাধারণত পিঠা তৈরি হয় নতুন চালের গুড়া ও গুড় দিয়ে। সু স্বাদের জন্য এর সাথে দরকার হয় নারকেল এবং ভাজার জন্য তেল আবার কিছু পিঠায় সবজি এবং মাংসের কুচিও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই পিঠার সমান হয়ে শীতকালকে পিথাকাল বলল ভুল হবে না পিঠা উৎসবের প্রতিযোগিতা আজকাল বেশ চলছে। এই প্রতিযোগিতায় ভিড়ে পিঠার নাম ও প্রস্তুত প্রণালী অনেক কিছুর সংযোজন কিংবা বিয়োজন হয়েছে যা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই আয়োজক এবং বিচারকদের খেয়াল রাধে রাখতে হবে এত উৎসবের ভিড়ে যারা দেশীয় পিঠার বিষয়টি চাপা না পড়ে যায়।
উপকরণ
পাটিসাপটা পিঠা তৈরি করতে গেলে যেসব উপকরণ লাগবে সেগুলো হলো ২ লিটার দুধ, চিনি ৫০০ গ্রাম, সুজি দুই টেবিল চামচ, মিহি নারিকেল করা আধাকাপ, চালের গুড়া এক কেজি, ময়দা আধা কাপ, তেল ভাজার জন্য, পানি পরিমাণ মতো লবণ সাবমতো এসব দিয়ে আপনারা খুব সহজে তৈরি করতে পারবেনপাটিসাপটা পিঠা।
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে অর্ধেক চিরির আর দুধ ঘন করে জাল দিতে হবে। এবার তার ভেতর সুজি আর নারকেল করা ছেড়ে ক্ষীর তৈরি করে নিতে হবে ক্ষীর ঘন হলে নামিয়ে রাখুন চালের গুড়া বাকি চিনি পানি আর লবণ দিয়ে পাতলা গোল করে নিন। ফ্রাই প্যানে সামান্য তেল নিয়ে গরম করে নিতে হবে এবার আধা কাপ গোলা দিয়ে একটা পাতলা রুটি বানিয়ে নিন। এর উপরের দিকে শুকিয়ে এলে এক টেবিল চামচ পরিমাণে ক্ষীর দিয়ে মুড়িয়ে পাটিসাপটার আকার দিয়ে আরেকবার ভেজে নিন। এভাবে একটি একটি করে পিঠা বানিয়ে নামিয়ে আনুন ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন মজাদার পাটিসাপটা পিঠা।আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ।