পুরুষ বন্ধাত্ব দূর করার উপায় জেনে নিন

পুরুষদের বন্ধ্যত্ব নতুন কোন বিষয় নয় বিয়ের পর সন্তান না হলে সব দোষ বউয়ের উপরে চাপানোর যে সংস্কৃতি তা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মাধ্যমে অনেক কমে এসেছে। এখন কে সন্তান জন্মদানে অক্ষম তা চাইলে সহজে জানা যায় চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে বন্ধ্যাত্বের শিকার নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেরই হতে পারে। পুরুষ শাসিত সমাজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষরা বন্ধ্যাত্বের কথা স্বীকার করে না। বর্তমানে বিজ্ঞানের প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে মানব জীবনের অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে। সম্প্রতি পুরুষদের বন্ধত্ব নিয়ে নতুন তথ্য পেয়েছেন টলেডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। শুক্রানুর নতুন গতিবিধির পরীক্ষা করে পুরুষদের বন্ধ্যত্বের সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তারা তাদের এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে বিখ্যাত নেচার পত্রিকায়। গবেষকদের দাবি শুক্রানু মাথা এবং লেজের সংযোগস্থল বাস সেন্ট্রালটি গতিক কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে লেজের গতি বৃদ্ধি করা সম্ভব। আর এটি নিয়মিত নড়াচড়া করলেই শুক্রানুর গতি বৃদ্ধি পাবে আর দ্রুতগতির সম্পূর্ণ শুকানোর নারী দেহের ডিম্বানুর সঙ্গে মিলে আরো বেশি সক্রিয় হবে। ফলে পুরুষরা অভিশপ্তের হাতে থেকে মুক্তি পাবেন এমনকি গর্ভপাত কিংবা জন্মগত ত্রুটির ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায়
সন্তানের আশায় অনেক দম্পতিকেই উদ্বিগ্ন দেখি আমরা। অনেকেই শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয় আমাদের সমাজে নারীর উপরেই বর্তায়। তবে এতে পুরুষ সঙ্গের ভূমিকাও অনেক সময় প্রধান নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায় প্রায় 40 থেকে 50 শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষদের সমস্যার কারণে সন্তান হয় না। পুরুষদের মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন শুকানো তৈরি না করতে পারা। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুকনা সহ এর গুণগত ত্রুটি দশ থেকে বিশ শতাংশ ক্ষেত্রে শুক্রাণু বেরোনোর পথে প্রতিবন্ধকতার কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক থেকে পাঁচ শতাংশ ক্ষেত্রে হরমোন জনিত সমস্যার কারণে যে সমস্যা দেখা এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। পিটুইটারি গ্রন্থি বা হাইপোথ্যালামাসের সমস্যার এক্ষেত্রে অন্যতম দায়ী।
পুরুষদের সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রোগীর পরিপূর্ণ তথ্য ও ইতিহাস জানা। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে তথ্য গোপন করা হয় অন্য কোন শারীরিক সমস্যা ,সংক্রমণ, ধূমপান ও বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার, পরিবেশে নানাবি দূষণ ও দায়ী হতে পারে। এছাড়া শুকনাশয়ের সংক্রমণ ভুলে যাওয়া কিংবা জেনেটিক বা ক্রোমোজোমান সমস্যা দেরিতে ধরা পড়ার কারণে সন্তান নাও হতে পারে।
অনেক সময় শুকানো চলাচলের নালিটি সংক্রমণ বা আঘাতের কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে জন্মগতভাবে ন্যালিটি বন্ধ বা অসম্পূর্ণ থাকতে পারে এসব ক্ষেত্রে অস্ত্রপাচার করা যায়। পুরুষদের হরমোন টেস্টোস্টেরন এর অভাব থাকলে প্রয়োজনে ইনজেকশন করে নিয়ে সমস্যার সমাধান করা যায় আগে ভেজেটমি করা থাকলে পূর্ণ সংযোগের মাধ্যমে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা যায়।
মনে রাখতে হবে জিনগত ও ক্রোমোজোমান ত্রুটিতে স্বপ্ন সহায় কোন কারণে চিরতরে নষ্ট হলে উন্নতির সম্ভাবনা নেই। তবে শুকানোর সংখ্যা আকার ও চলন ক্ষমতা ত্রুটি থাকলে সীমিত পর্যায়ে ভালো ফল আশা করা যেতে পারে।