বন্ধ্যাত্বের উন্নত চিকিৎসার জন্য কোন হাসপাতাল ভালো ভারতের জেনে নিন

নিঃসন্তান দরিদ্র নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত দম্পতি জন্য পশ্চিমবঙ্গের প্রথম বন্ধ্যাক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র চালু হচ্ছে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতাল অর্থাৎ সরকারিপিজি হাসপাতাল। বেসরকারি হাসপাতালে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় বিপুল পরিমাণে অর্থ ব্যয় করতে হয়। তবে পিজিতে সেই চিকিৎসা হবে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। পাতালের স্ত্রী রোগ ও পশুটি বিভাগ সূত্রে জানা যায় আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় কাজ শুরু হবে।পিজিতে গড়ে তোলা ইন বিট্র ফার্টিলাইজেশনের দায়িত্ব একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে। ভারতের বিশিষ্ট বদ্ধাদ্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার এর প্রতিষ্ঠান পিজির সঙ্গে যোগাযোগ হবে তিন বছরের জন্য কাজ করবে। কিভাবে কেন্দ্রটি চলবে এ ধরনের চিকিৎসায় কি ধরনের যন্ত্রপাতি থাকা উচিত বিভিন্ন রকম ইত্যাদি বিশেষ বিষয়ে সহযোগিতা দেবেন সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারের প্রতিষ্ঠান। বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতি মাসে সাড়ে ছয় লাখ রুপে দেবে রাজ্য সরকার।
তিন বছর পর সমগ্র কেন্দ্রটি এককভাবে চালাবে পিজি হাসপাতাল তবে এখানে এক ধরনের পদ্ধতি বিভিন্ন ধরনের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা হবে। আইভিএফ এর পাশাপাশি ইন্টাররা সাইট্রো প্লাস মাটি স্পার্মা ইঞ্জেকশন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা পিজিতে চালু করার প্রথম প্রস্তাব বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গৌতম খাস্তা গিরকে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই প্রস্তাব খরচ হয়ে যায় তিনি বলেন কে দায়িত্ব করে তা বড় বিষয় নয় তবে এটুকু বলতে পারি এর থেকে ভালো খবর হতে পারে না।
গরিব গরিব নিম্নবিত্ত মানুষ অসম্ভব উপকৃত হবেন খুবই ভালো উদ্যোগ দেরিতে বিয়ে কাজের ধরন স্বামী-স্ত্রী দুজনার চাকরি খাদ্যাভাস অনিয়ম বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ সহ নানা কারণে বন্ধ্যত্ব বাড়ছে। সমস্যাটি এখন আর সমাজের উজু তলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই ফলে এ ধরনের আয়োজন আসলে মানুষের উপকার হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধন্যবাদ জানাই।পরিসংখ্যান বলছে কয়েক বছর আগেও ভারতের প্রতি ৭ হাত দম্পত্তির মধ্যে একজনের বন্ধ্যাত্ব সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে বর্তমান পরিসংখ্যান দুশ্চিন্তায় আরও বাড়িয়েছে এখন ৫ দম্পতির মধ্যে এক দম্পতি বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভুগছে।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে কলকাতা সহ পশ্চিমবাংলার পাশাপাশি আসাম ত্রিপুরা এমনকি বাংলাদেশ থেকে অনেক দম্পত্তি আসেন বন্ধ্যা চিকিৎসা নিতে পিজি হাসপাতালে। চিকিৎসার এই উদ্যোগে বাঙ্গালীদের অনেক উপকারে আসবে বলে মনে করেছেন সংশ্লিস্টরা।
আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ আমাদের পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন।