তথ্য

বাংলাদেশ ট্রাফিক আইন ও জরিমানার তালিকা ২০২৩

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এই সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার সড়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষের অধীনে বিভিন্ন ধরনের আইন ও নিয়ম কানুন এর ব্যবস্থা প্রদান করেছেন। বাংলাদেশের বড় বড় সড়কগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনার এড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ট্রাফিক আইন ও জরিমানার তালিকা চালু করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মহাসড়কের ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে যেখানে প্রতিটি চালক ও যাত্রী সকল ধরনের নিরাপত্তার জন্য তারা প্রতিনিয়ত কাজ করে যান। তাইতো অনেকেই বাংলাদেশ ট্রাফিক আইন ও জরিমানার তালিকা ২০২৩ সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাদের উদ্দেশ্যে আজকের প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের মাঝে বাংলাদেশ ট্রাফিক আইন ও জরিমানার তালিকা ২০২৩ সম্পর্কিত তথ্যগুলো তুলে ধরেছি। যেগুলো আপনাদের সকলকে বাংলাদেশ সড়ক মন্ত্রণালয়ের ট্রাফিক আইন ও জরিমানা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।

সাম্প্রতিক সময় বাংলাদেশের প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। একজন মানুষ জীবনে বিভিন্ন প্রয়োজনে স্থান থেকে অন্য স্থানে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশের মহাসড়ক গুলোতে প্রতিনিয়ত ভয়াবহ দুর্ঘটনার সংখ্যা বিরোধী পাওয়ার কারণে এখন অনেকেই এই সড়ক গুলোতে  চলাচল করতে ভয় করেন। বাংলাদেশ সরকার প্রতিনিয়ত প্রতিটি চালক ও যাত্রী নিরাপত্তার জন্য ট্রাফিক পুলিশ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য সকলের মাঝে প্রকাশ করেছেন। প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়মকানুন ও পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে যা একজন গাড়িচালক ও জাতির জীবনে নিরাপত্তা প্রদানের সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশের ট্রাফিক আইন ও জরিমানার বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রতিটি মানুষের মাঝে প্রচার করা হচ্ছে। এর কারণে বাংলাদেশে সড়ক গুলোতে অদক্ষ গাড়ি চালকের সংখ্যা কমে যাবে এবং প্রতিটি গাড়ি চালক নিজেকে দক্ষতা অনুযায়ী গাড়ি চালনা করবে।

বাংলাদেশ ট্রাফিক আইন ২০২৩

বাংলাদেশের যাত্রী ও চালকদের জন্য মূলত ট্রাফিক আইন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রাফিক আইনের বেশ কিছু শর্ত ও নিয়ম রয়েছে যেগুলো প্রতিটি যাত্রী ও চালকের জানা উচিত। তাইতো আমরা আজকে আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ট্রাফিক আইন ২০২৩ সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি শেয়ার করব যেখানে আপনারা প্রতিটি ট্রাফিক আইনের শর্ত নিয়ম-নীতি সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জেনে নিতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য একজন মানুষকে এই আইন সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। তাইতো সকলের উদ্দেশ্যে আজকের এই প্রতিবেদনটি শেয়ার করা হয়েছে। আপনারা আর দেরি না করে আমাদের প্রতিবেদন থেকে বাংলাদেশ ট্রাফিক আইন ২০২৩ সম্পর্কিত তথ্য গুলো দেখে নিন।

বাংলাদেশ ট্রাফিক জরিমানার তালিকা ২০২৩

বাংলাদেশের ট্রাফিক আইনের বেশি কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। এগুলো প্রতিটি চালক ও যাত্রীকে মেনে চলতে হয়। ট্রাফিক আইনের এই নিয়ম একজন চালু কিংবা যাত্রী অমান্য করলে তাকে জরিমানা প্রদান করতে বাধ্য হবে। তাইতো আমরা আজকে আপনাদের মাঝে বাংলাদেশ ট্রাফিক জরিমানার তালিকা ২০২৩ সম্পর্কিত তথ্যগুলো তুলে ধরব। আজকের এই তথ্যগুলোর আলোকে আপনারা প্রত্যেকেই জানতে পারবেন বাংলাদেশের ট্রাফিক কোন নিয়মটি না মানার কারণে একজন চালককে কি পরিমাণ অর্থ জরিমানা দিতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন। আমাদের এই তথ্যগুলো প্রতিটি মানুষকে বাংলাদেশ ট্রাফিক আইনের জরিমানা সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। নিচে বাংলাদেশ ট্রাফিক জরিমানার তালিকা ২০২৩ তুলে ধরা হলো:

  • নিষিদ্ধ হর্ণ/হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারঃ জরিমানা ১০০ টাকা (ধারা ১৩৯)
  • আদেশ অমান্য, বাধা সৃষ্টি ও তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতিঃ জরিমানা ৪০০ টাকা {ধারা ১৪০(১)}
  • ওয়ানওয়ে সড়কে বিপরীত দিকে গাড়ি চালানো: জরিমানা ২০০ টাকা {ধারা ১৪০(২)}
  • অতিরিক্ত গতি বা নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো: জরিমানা ৩০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে: জরিমানা ৫০০ টাকা (ধারা ১৪২)
  • দুর্ঘটনা সংক্রান্ত যে সকল অপরাধ থানায় ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। জরিমানা ৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে: জরিমানা ১০০০ টাকা (ধারা ১৪৬)
  • নিরাপত্তা বিহীন অবস্থায় গাড়ি চালানো: জরিমানা ২৫০ থেকে ১০০০ টাকা (ধারাঃ ১৪৯)
  • কালো বা অতিরিক্ত ধোঁয়া বের হওয়া মোটরযান ব্যবহার: জরিমানা ২০০ টাকা (ধারাঃ ১৫০)
  • মোটরযান আইনের সাথে সঙ্গতিবিহীন অবস্থায় গাড়ি বিক্রয় বা ব্যবহার, গাড়ির পরিবর্তন সাধনঃ জরিমানা ২০০০ টাকা (ধারা: ১৫১)
  • রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট বা ফিটনেস সার্টিফিকেট অথবা রুট পারমিট ব্যতীত মোটরযান ব্যবহারঃ জরিমানা ১৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে: জরিমানা ২৫০০ (ধারা: ১৫২)
  • অনুমোদন বিহীন এজেন্ট বা ক্যানভাসার নিয়োগ: জরিমানা ৫০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলেঃ জরিমানা ১০০০ টাকা (ধারা: ১৫৩)
  • অতিরিক্ত মাল বা অনুমোদিত ওজন অতিক্রমপূর্বক গাড়ি চালনা: জরিমানা ১০০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলে: জরিমানা ২০০০ টাকা (ধারা: ১৫৪)
  • বীমা ব্যতীত গাড়ি চালানো: জরিমানা ৭৫০ টাকা (ধারা: ১৫৫)
  • অনুমতি ব্যতীত গাড়ি চালানোঃ জরিমানা ৭৫০ টাকা (ধারাঃ ১৫৬)
  • প্রকাশ্য সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিঃ জরিমানা ৫০০ টাকা (ধারাঃ ১৫৭)
  • গাড়ীর ব্রেক কিংবা কোন যন্ত্র অথবা গাড়ির বডি কিংবা স্পিড গর্ভণর সীল বা ট্যাক্সি মিটারের উপর অন্যায় হস্তক্ষেপ করাঃ জরিমানা ৫০০ টাকা (ধারাঃ ১৫৮)
  • যে সকল অপরাধের জন্য মোটরযান আইনে সুনির্দিষ্ট কোন শাস্তির ব্যবস্থা নেইঃ জরিমানা ২০০ টাকা, অপরাধের পুনরাবৃত্তি করলেঃ জরিমানা ৪০০ টাকা (ধারাঃ ১৩৭)।

Comment Here