বৈধভাবে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে এবং ইতালি যাওয়ার খরচ

বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের একটি দেশ। এদেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে এটি একটি জনবহুল দেশ এবং দারিদ্রতা যার প্রতিটি স্থানে মিশে আছে। দেশটি জনবহুল হওয়ার কারণে এদেশে প্রচুর পরিমাণে বেকারত্বের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এদেশের বেকারত্ব সমস্যা দূর করার জন্য দেশে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে এছাড়াও অনেক শিক্ষিত বেকার কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করার জন্য যাতায়াত করছে। মূলত দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রবাসে যাওয়ার জন্য অনেকেই বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। আর এই উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ইতালি একটি অন্যতম দেশ যেখানে অনেক শিক্ষিত বাঙালি কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে গিয়ে থাকেন। এছাড়া অনেকেই দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনে বৈধভাবে ইতালিতে যাতায়াত করেন। তাইতো আজকে এই প্রতিবেদন দিতে নিয়ে এসেছি আমরা বৈধভাবে ইতালিতে যেতে কত টাকা লাগে এবং ইতালি যাওয়ার খরচ সম্পর্কিত সকল তথ্য।
বিশ্ব মানচিত্রে যে সমস্ত দেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অবস্থান করছে তার মধ্যে অন্যতম একটি দেশের নাম হচ্ছে ইতালি। এই দেশটির উদার শিল্পনীতি উন্নয়নশীল অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এবং চিকিৎসা অথবা শিক্ষানীতি প্রতিটি দেশের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যার কারণে প্রতিনিয়ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকেই শিক্ষার জন্য অথবা চিকিৎসার জন্য আবার অনেকেই কর্মসূত্রে ইতালিতে অবস্থান করে থাকেন। এছাড়াও প্রতিনিয়ত অনেকে ইতালির ও প্রদর্শনীয় স্থানগুলো এবং ইতালি দেশটি ভ্রমণ করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইতালির উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে থাকেন। বাংলাদেশ থেকে অথবা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইতালিতে যাতায়াত করার জন্য ইতালি সরকারের নিকট ভিসা অথবা পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে হয় যার কারণে ইতালি সরকার অনুমোদন দিয়ে একজন মানুষকে ইতালিতে প্রবেশের সুযোগ দেন। ইতালিতে যাওয়ার জন্য প্রতিটি মানুষের ভিসা পাসপোর্ট ছাড়া যাতায়াত খরচ সম্পর্কে অবগত থাকা প্রয়োজন। যাতায়াত খরচ সম্পর্কে ধারণা রাখলে একজন মানুষ নির্বিঘ্নে ইতালিতে যাতায়াত করতে পারবে।
বৈধভাবে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাসপোর্ট অথবা ভিসা চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে একজন মানুষ নিজের পছন্দমতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে যাওয়ার অনুমোদন পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশের বেকারত্ব সমস্যা দূর করার জন্য অনেক শিক্ষিত বেকার এখন কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিশ্বের ইতালি দেশটিকে যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের মানুষ বাংলাদেশ থেকে ইতালির উদ্দেশ্যে যাতায়াত করছেন। প্রতিটি মানুষকে বৈধভাবে ইতালিতে দেওয়ার জন্য অর্থনৈতিকভাবে খরচ করতে হয়। তাই আমরা আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এলাম বৈধভাবে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কিত সকল তথ্য। যা ইতালি যাতায়াতকারী প্রতিটি মানুষকে বৈধ ভাবে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। নিচে বৈধ ভাবে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে তা তুলে ধরা হলো:
ইতালিতে দুই ধরনের ভিসা প্রচলিত আছে। ইতালি সিজনাল ভিসা ও ইতালি নন সিজনাল ভিসা। আপনি যদি সিজনাল ভিসা ইতালি যেতে চান, তাহলে আপনার সর্বনিম্ন ৩/৪ লক্ষ টাকা লাগবে। আবার আপনি যদি নন সিজনাল ভিসা নিয়ে ইতালি যেতে চান, তাহলে আপনাকে ৯/১০ লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে।
বৈধভাবে ইতালি যাওয়ার খরচ
প্রতিটি মানুষকে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশে যাতায়াত করার জন্য অর্থনৈতিকভাবে একটি খরচ করতে হয়। তাইতো অনেকেই অনেক সময় বৈধভাবে ইতালি যাওয়ার খরচ সম্পর্কে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করেন। তাদের জন্য এই প্রতিবেদনটিতে বৈধভাবে ইতালি যাওয়ার যাবতীয় খরচ সম্পর্কে তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে যেগুলো আপনাদেরকে বৈধভাবে একজন মানুষকে ইতালি যেতে যাতায়াত খরচ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। আমাদের আজকের এই তথ্যগুলো কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে হোক কিংবা প্রবাস জীবনের উদ্দেশ্যে হোক যে কোন প্রয়োজনে একজন মানুষ ইতালি যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে এই তথ্যগুলোর মাধ্যমে তারা উপকৃত হতে পারবে। নিচে বৈধভাবে ইতালি যাওয়ার খরচ তুলে ধরা হলো:
ইতালিতে প্রধানত তিন প্রকারের স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে থাকে, এদের একেক ধরনের ফি হয়। যেমনঃ
১. স্টুডেন্ট ভিসা সাব ক্লাস।
২. স্টুডেন্ট গার্ডিয়ান ভিসা। এই ভিসার প্রসেসিং এর ক্ষেত্রে আপনার খরচ হতে পারে ত্রিশ হাজার থেকে পয়ত্রিশ হাজার টাকা।
৩. স্পেশাল ক্যাটেগরী স্টুডেন্ট ভিসা। এই ভিসার প্রসেসিং করতে তেমন কোনো আলাদা খরচ হয় না বললেই চলে।