ভারতের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের মাঝে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের মাঝে ভারতের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরব। আপনারা আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি সংগ্রহ করলে ভারতের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন এবং ভারতের স্বাধীনতা দিবসের পটভূমি বুঝতে পারবেন। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিটি মানুষের উচিত নিজ দেশের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর বিভিন্ন জাতীয় দিবস সম্পর্কে ধারণা রাখা। আজকে আমরা এজন্যই নিয়ে এলাম আমাদের ওয়েবসাইটে ভারতের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত আজকের এই পোস্টটি। তাই আশা করা যায় আজকের এই পোস্টটি আপনাদের সকলের কাজে লাগবে।
ভারত ভৌগোলিক দিক থেকে বাংলাদেশের চারিদিকে অবস্থান করছে। এটি বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ অর্থাৎ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মতো ভারতেও প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট দিনের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ১৫ ই আগস্ট। অর্থাৎ এই দিনে প্রতিবছর ভারত স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। তৎকালীন মানুষের সাথে ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা লাভ করে থাকে সেই থেকে এই দিনটি ভারতবাসী স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে যেমন স্বাধীনতার দিবসের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং এর গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায় তেমনি ভারতের ইতিহাস পর্যালোচনা করলেও 15 আগস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারণা নেওয়া সম্ভব। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিটি মানুষের উচিত পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারণা রাখা।
ভারতের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা
অনেকে অনলাইনে ভারতের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে আমাদের আর্টিকেলটিতে ক্লিক করে থাকেন। তাদের উদ্দেশ্যে আজকে তাদেরকে সহায়তা করার জন্যই নিয়ে এলাম আমাদের ওয়েবসাইটে ভারতের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা সম্পর্কিত এই পোস্টটি। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সেইসাথে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস ঐতিহ্য পটভূমি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন। আপনি আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করে আপনার পরিচিত সকলকে ভারতের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে জানাতে পারবেন। নিচে ভারতের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরা হলো:
স্বাধীনতা দিবস হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট ভারত ব্রিটিশ রাজশক্তির শাসনকর্তৃত্ব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। সেই ঘটনাটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছর ১৫অগাস্ট তারিখটি ভারতে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সতেরোশ শতাব্দীর মধ্যেই ইউরোপীয় বণিকেরা ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের বাণিজ্যকুঠি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আঠারোশ শতাব্দীর মধ্যে অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তির জোরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের প্রধান শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে। ১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পরের বছর ভারত শাসন আইন পাস হয় এবং উক্ত আইন বলে ব্রিটিশ রাজশক্তি কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতের শাসনভার স্বহস্তে তুলে নেয়। তৎকালীন সময়ে এরূপ অসন্তোষ থেকে মোহনদাস করমচন্দ গান্ধীর নেতৃত্বে অহিংস অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন ঘনীভূত হয়। যার ফলে স্বাধীনতার আন্দোলন আরোও তীব্র আকার ধারণ করে। ১৯২৯ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে পূর্ণ স্বরাজ ঘোষণাপত্র বা “ভারতের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র” গৃহীত হয়। ২৬ জানুয়ারি তারিখটিকে স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয়। কংগ্রেস জনগণকে আইন অমান্যের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার ডাক দেয় এবং যতদিন না ভারত সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে ততদিন সময়ে সময়ে কংগ্রেসের নির্দেশ পালন করতে বলা হয়। ১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ২৬ জানুয়ারি তারিখটি কংগ্রেস স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ১৯৪৬ সালে যুক্তরাজ্যের সরকারি অর্থভাণ্ডার নিঃশেষিত হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় সদ্য-নির্বাচিত লেবার সরকার অনুভব করে, ক্রমাগত অস্থির হয়ে ওঠা ভারতের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ব্রিটেনের জনসাধারণের সমর্থন পাওয়া যাবে না এবং এই ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সাহায্যও পাওয়া অসম্ভব হবে। তাছাড়া স্থানীয় সেনাবাহিনীও যে এই কাজে নির্ভরযোগ্য হবে না, তাও সরকার অনুভব করে। এমতাবস্থায় ১৯৪৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি ঘোষণা করেন, ১৯৪৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যেই ব্রিটিশ সরকার ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা অনুমোদন করতে চলেছে।স্বাধীনতা ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে, পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তত বৃদ্ধি পায়। দাঙ্গা রোধে ব্রিটিশ বাহিনীর অক্ষমতার কথা মাথায় রেখে ভারতের তদনীন্তন ভাইসরয় লুইস মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি সাত মাস এগিয়ে আনেন।ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস পায় ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের ১৯৪৭ সালের জুন মাসে জওহরলাল নেহেরু, আবুল কালাম আজাদ, মহম্মদ আলি জিন্নাহ, ভীমরাও রামজি আম্বেডকর প্রমুখ জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের প্রস্তাব মেনে নেন। হিন্দু ও শিখ সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি ভারতে ও মুসলমান সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যুক্ত হয়; পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশ দ্বিখণ্ডিত হয়। দেশভাঙ্গনের কষ্ট নিয়ে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট নতুন পাকিস্তান অধিরাজ্য জন্ম নেয় এবং মধ্যরাতে অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট সূচিত হলে জওহরলাল নেহেরু তার বিখ্যাত নিয়তির সঙ্গেব অভিসার অভিভাষণটি প্রদানের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।