তথ্য

মায়ের বুকে দুধ কম হওয়ার কারণগুলো জেনে নিন

মায়ের বুকের দুধ যে নবজাতকের জন্য সবচেয়ে সেরা খাবার সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। এবং প্রত্যেক মায়ের সবচেয়ে বড় ইচ্ছা থাকে বাচ্চা যে ভালো থাকে ভালো খাবার খায় এটাই। বুকের দুধ খাওয়ানো খুবই সাধারণ এবং খুব সহজ একটি বিষয় তবুও কোন কোন সময় এই সাধারণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। বিশেষ করে যারা প্রথমবার মা হয়েছেন এবং সহযোগিতা করার মত পরিবেশ পান নাই তারা বুকের দুধ খাওয়াতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে। হলে বুকের দুধের পরিমাণ কমে যায় বাচ্চা পরিমাণ মতো দুধ পায় না কেন মায়ের বুকের দুধের প্রভাব কমে যায় এবং কিভাবে প্রভাব ধরে রাখা যায় বা বৃদ্ধি করা যায় সেটা নিয়েই আলোচনা করব।

বাচ্চা কি আসলেই দুধ কম পাচ্ছে

সেভার ক্ষেত্রে নবজাতকের কান্নাকে শুধুমাত্র জন্য কান্না বলে ধরে নেওয়া হয়। এটা কিন্তু সত্য না। অপযাতকের যেকোনো অস্বস্তি কষ্ট হলেই সে কান্না করে পেটে ব্যথা ভেজা কাপড় ঠান্ডা লাগায় তাদের যে কোন ক্ষেত্রে কিন্তু নবজাতক কান্না করে। নবজাতকের চামড়া খুবই স্পর্শকাতর হওয়ার কারণ হওয়ায় কাপড়ের খোসা লাগার কারণে কান্না করতে পারে। এমনকি শুধুমাত্র কোলে ওঠার জন্য বাচ্চা কান্না করে থাকে কাজেই বাচ্চা কান্না করলে শুধু খাওয়ার বিষয় অন্য দিকগুলো নিয়েও কিন্তু, চিন্তা করতে হবে।

তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আসলে বাচ্চা পর্যন্ত দুধ নাড়াও যেতে পারে সেগুলোকেই চিনতে হবে এবং কোন সমস্যা থাকলে সমাধান করতে হবে নিচের লক্ষণগুলো আছে কিনা দেখুন।

১.বাচ্চা সারাদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ বার প্রসাব করে কিনা যদি না করে তাহলে বাচ্চা হয় তো পরিবারের মত দুধ পাচ্ছে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে জলের পর প্রথমে দুই দিন নবজাত প্রসাব নাও হতে পারে এটা স্বাভাবিক।

২.বাচ্চার ওজন বাড়ছে কিনা  জন্মের পর প্রথম সাতদিন  বাচ্চার ওজন কমতে থাকে তবে এরপর থেকে ক্রমাগত ওজন বাড়ার কথা যদি না পারে তাহলে বাচ্চা ক্রমাগত দুধ পাচ্ছে না।

৩.বাচ্চার বেশি কান্না করে ঠিকঠাক দুধ খায় এবং শান্ত হয় কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবার কান্না শুরু করে। অনেক ক্ষেত্রে মায়েরা একবার খাওয়ানোর সময় দুস্থল থেকে অল্প অল্প করে দুধ খাও এর ফলে বাচ্চার পাওয়া দুধের পরিমাণ ঠিক থাকলেও দুই স্কুল থেকে সামনের দিকের অপেক্ষা পাতলা দুধ পায়। এবং পেছনের দিকের ঘন দুধ পায় না, ফলে কিছুক্ষণ পরে আবার বাঁচার ক্ষুদা লেগেছে এবং কান্নাকাটি শুরু করে।

এ লক্ষণ গুলো থাকলে বাচ্চার দুধ পরিমান ধরে নেওয়া যায় যথেষ্ট পরিমাণ বুকের দুধ পাচ্ছে না বা কেন মায়ের বুকের দুধ যথেষ্ট পরিমাণ তৈরি হচ্ছে না এজন্য একটু ভিতরে কথা জানলে সুবিধা হবে।

দুধ কিভাবে তৈরি হয়

শিশু যখন মায়ের স্তনের গোটা দুধ খাওয়ার সময় চুষে তখন মায়ের ব্রেন থেকে দুটি হরমোন নিঃসরিত হয়। এর মধ্যে একটি প্রলাক্টিন এবং অন্যটি অক্সিডোসিন।

প্রলাক্টিন এর স্তনের দুধ তৈরি করতে সহায়তা করে অর্থাৎ যত বেশি প্রলেক্তি নিঃসরিত হবে তত বেশি বুকের দুধ তৈরি হবে।

অন্যদিকে অক্সিট ওসিনের কাজ হল দুধ স্টোন থেকে বের করা অর্থাৎ বাচ্চা যখন বুকের মুখ দেয় তখন দুধ বের হবে। সোজা ভাষায় অক্সিটোসিন বেশি নিঃসরিত হয় স্থানের আগে থেকে তৈরি থাকা দুধ বেশি বেশি বের হয়ে আসবে।

কি কি কারণে মায়ের বুকের দুধ কমে যায়

এসব কারণে মায়ের বুকের দুধ কম হয়ে সেগুলো হচ্ছে দেরিতে বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করে।

বুকের দুধের আগেই শিশুকে অন্য কিছু খাওয়ানো। এতে বাচ্চার ক্ষুধা কমে যেতে পারে এবং বুকে দুধ খাওয়ানো শুরু করতে সমস্যা হতে পারে।

মায়ের মধ্যে সন্দেহবাদে থাকা বিশেষ করে নতুন মায়েদের অনেক সময় মনে হয় যে সে বাচ্চাকে সঠিকভাবে দুধ খাওয়াতে পারবে না ফলে প্রলেপটিন ও অক্সিডেশন সঠিকভাবে বা পরিমাণ মতো তৈরি না হতে পারে এবং পর্যাপ্ত দুধ তৈরি ও নিঃসরণ নাও হতে পারে।

শারীরিক ব্যথা বেদনা বা মানসিক অসুস্থ থাকলে মায়ের রক্ত অক্সি টস ইন নিঃসরণ কমে যায় এ কারণে সব সেবন করা ও মাকে মানসিক সমর্থন দেওয়া জরুরী।

আশা করি আমাদের পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে আর নতুন নতুন পোস্ট পাওয়ার জন্য আমাদের সাথে থাকুন।

Comment Here