টিপস

যোহরের নামাজের পর আমল, দোয়া এবং ফজিলত

পৃথিবীতে প্রতিটি মুসলিমের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত হচ্ছে নামাজ। যার কোন বিকল্প নেই। পৃথিবীতে প্রতিটি ইবাদতের বিকল্প হিসেবে কোন না কোন রয়েছে কিন্তু নামাজ এমন একটি ইবাদত যার কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। প্রতিনিয়ত প্রতিটি মানুষকে এই নামাজ আদায় করতে হয় এবং মহান আল্লাহতালার সম্মানিত লাভের চেষ্টা করতে হয়। কেননা নামাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের জীবনের সফলতা দান করে থাকেন সেই সাথে তাদেরকে পূর্বের জীবনের গুনাহ গুলো ক্ষমা করে দিয়ে কবুল করে নেন। প্রতিটি নামাজের ফজিলত নামাজের আমল ও দোয়া রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখার প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই আমরা আজকে আপনাদের উদ্দেশ্যে জোহরের নামাজের পর আমল দোয়া এবং ফজিলত গুলো তুলে ধরব। যেগুলো আপনাদেরকে জোহরের নামাজের পর দোয়া ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে।

প্রতিনিয়ত একজন মানুষকে যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জোহর। এটি হচ্ছে প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দ্বিতীয় ওয়াক্ত নামাজ। একজন মানুষের জীবনে এই নামাজের ফজিলত রয়েছে কেননা নামাজ মহান আল্লাহতালার পক্ষ থেকে প্রতিটি মানুষের উপর ফরজ করা হয়েছে এই ফরজ নামাজ আদায় করার মাধ্যমে প্রতিটি মানুষ আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে সব অর্জন করতে পারে এবং মহান আল্লাহতালার কাছে তার জীবনের সকল চাওয়া-পাওয়া গুলো স্পষ্ট বর্ণনা করতে পারে। এই ফরজ নামাজগুলো শেষে প্রতিটি নামাজের নির্দিষ্ট আমল দোয়া রয়েছে যেগুলো দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি মানুষ তাদের জীবনে আমল করার মাধ্যমে আল্লাহতালার কাছ থেকে অসংখ্য নেকি অর্জন করে দুনিয়া ও আখিরাত জীবনকে পরিপূর্ণভাবে সুন্দর করে তুলতে সক্ষম হয়। তাইতো মহান আল্লাহতালার কাছে আমাদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দোয়া আমল এবং নামাজের ফজিলত সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে ও উত্তম রূপে নামাজ আদায় করতে হবে।

জোহরের নামাজের পর আমল

প্রতিটি নামাজের পর নির্দিষ্ট কিছু আমল রয়েছে এই আমলগুলো মূলত মানুষকে মহান আল্লাহ তা’আলার কাছ থেকে সন্তুষ্টি লাভ করতে সাহায্য করে থাকে। তাইতো প্রতিটি মানুষ আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য প্রতিনিয়ত প্রতিটি নামাজের শেষে এই আমলগুলো উত্তম ভাবে আদায় করেন। এজন্য আমরা সকলের উদ্দেশ্যে আজকে জোহরের নামাজের পর আমলগুলো নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা আমাদের প্রতিবেদন থেকে জোহরের নামাজের পর আমলগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং এই আমল গুলো আপনার বাস্তব জীবনে আমল করতে পারবেন। নিচের জোহরের নামাজের পর আমলগুলো তুলে ধরা হলো: আতাবিন আবি রাবা রহমাতুল্লাহ বর্ণনা করেন, আমি শুনেছি যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন “যে ব্যক্তি দিনের বেলায় সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবে তার সব হাজত পূর্ণ করা হবে। (ফাজায়েলে আমল ১/৫২)।

জোহরের নামাজের পর দোয়া

মহান আল্লাহতালার কাছ থেকে কোন কিছু চায় চাওয়ার জন্য নামাজের মাধ্যমে দোয়া করে চাইতে হয়। কেননা আল্লাহ তাআলা বান্দাদের দোয়া কখনো ফিরিয়ে দেন না তাইতো প্রতিটি মানুষ নামাজের শেষে দোয়া করে মহান আল্লাহতালার কাছে তাদের জীবনের সকল চাওয়া পাওয়া ও ইচ্ছে গুলো বর্ণনা করেন। তাই আমরা আজকে আপনাদের উদ্দেশ্য জোহরের নামাজের দোয়াগুলো উপস্থাপন করেছি। আপনারা আমাদের এই প্রতিবেদন থেকে দোয়া গুলো সংগ্রহ করে প্রতিনিয়ত জোহরের নামাজের পর পরিপূর্ণভাবে মহান আল্লাহতালার দরবারে দোয়া করতে পারবেন। নিচে জোহরের নামাজের পর দোয়া গুলো তুলে ধরা হলো: নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সময়ে তিনটি আমল করতেন। যেমন- আয়াতুল কুরসি, ৩ কুল, ৩ তাসবিহ।

জোহরের নামাজের ফজিলত

প্রতিটি নামাজের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে। একজন মানুষ অযথা নামাজের ফজিলত গুলো বিভিন্ন ধরনের হাদিসের আলোকে সুস্পষ্টভাবে জানতে পারে। নামাজের এই ফজিলত গুলো প্রতিটি মানুষকে মহান আল্লাহতালার ইবাদতের প্রতি যত্নশীল হতে সাহায্য করে থাকে। তাই আমরা আজকে আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটিতে নামাজের ফজিলত গুলো তুলে ধরেছি। আপনারা আমাদের এই সম্পর্কে ধারণা নিলে জোহরের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জানতে পারবেন। নিচে জোহরের নামাজের ফজিলত তুলে ধরা হলো:

১. ফজরের নামাজে দাঁড়ানো, সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সমান। ‘যে ব্যক্তি জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায় করলো, সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামাজ পড়লো। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়লো, সে যেন পুরো রাত জেগে নামাজ পড়লো। ’ (মুসলিম শরিফ)

২. ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে। ’ (মুসলিম)

৩. ফজরের নামায কেয়ামতের দিন নূর হয়ে দেখা দিবে – ‘যারা রাতের আঁধারে মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদেরকে কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নূর প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও। ’ (আবু দাউদ)

৪. সরাসরি জান্নাত প্রাপ্তি – ‘যে ব্যক্তি দুই শীতল (নামাজ) পড়বে, জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর দুই শীতল (নামাজ) হলো ফজর ও আসর। ’ (বুখারী)

৫. রিজিকে বরকত আসবে – আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, সকাল বেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাঁধা দেয়। কেননা তখন রিজিক বন্টন করা হয়।

Comment Here