শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে কিছু কথা 2023

সম্মানিত পাঠক বাংলাদেশের ইতিহাসে যে কয়েকটি জাতি দিবস পালন করা হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। যে দিবসটি প্রতিবছর ১৪ই ডিসেম্বর সারাদেশে পালন করা হয়। অন্যান্য দিবসের মতো এই দিবসের ইতিহাস পর্যালোচনা করলেও মর্মান্তিক ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়। এটি তৎকালীন ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশের মানুষ পালন করে আসছে হচ্ছে। এই দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে অনেকেই জানার জন্য অনলাইনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস লিখে অনুসন্ধান করে থাকে। আমাদের আজকের এই লেখাটি আমরা তাদের জন্যই নিয়ে এসেছি। আপনারা আমাদের এই লেখাটি সংগ্রহ করলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন এবং এর ইতিহাস উপলব্ধি করতে পারবেন। তাই আপনারা যারা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।
প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রতিটি স্থানের সরকারিভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। এটি মূলত ১৯৭১ সালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতি রক্ষার্থে পালিত হয়। তৎকালীন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য দেশের সকল বুদ্ধিজীবীকে একটি দিনে হত্যা করে থাকে।এই হত্যার সূত্রপাত ধরেই মূলত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের উৎপত্তি হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বর্তমান সময়ের প্রতিটি মানুষের কাছে বুদ্ধিজীবীদের চেতনা তুলে ধরা হয়। সেই সাথে তাদের মাঝে দেশের প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করা হয়। বাংলাদেশের একজন আদর্শ নাগরিক হিসেবে প্রতিটি মানুষের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে দেশের প্রতিটি জাতীয় দিবস সম্পর্কে ধারণা রাখা এবং তা যথাযথভাবে পালন করা।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে কিছু কথা
বাংলাদেশে জাতীয় দিবস গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দিবসের চেয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যেটি ১৪ ই ডিসেম্বর প্রতিবছর পালিত হয়। তৎকালীন ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দেশের সকল জ্ঞানী গুণীদের হত্যা করে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার জন্য। সেই হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস ও প্রথমে সকলের মাঝে তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর মূলত ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তাই আজকে আমরা আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে আমাদের আজকের এই পোস্টটিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে বেশ কিছু কথা তুলে ধরেছি। আপনারা আমাদের এই পোষ্ট থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সকলকে জানাতে পারবেন। নিচে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরা হলো:
ডিসেম্বর বাঙালির জাতীয় জীবনে যেমন পরম প্রাপ্তি ও অনন্য গৌরবে উজ্জ্বল, তেমনই মর্মান্তিকতায় আচ্ছন্ন। এবারের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হচ্ছে। ঐতিহাসিক বিজয়ের পঞ্চাশতম বার্ষিকী উদযাপন করতে উদগ্রীব বাংলাদেশ। বিজয়ের আনন্দে উদ্ভাসিত একাত্তরের সেই ঐতিহাসিক অর্জনের মুহূর্তকে জাতি স্মরণ করবে গভীর উচ্ছ্বাসে। তবে আজ এই লেখা যখন লিখছি তখন বিজয়ের সে আনন্দকে যেন ম্লান করে শোকাবহ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। যা স্মৃতিকে ভারাক্রান্ত করে তুলছে।
দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর বেদনাময় স্মৃতি নিয়েই প্রতিবছর উপনীত হয় ১৪ ডিসেম্বর। গভীর শ্রদ্ধায় এই দিনটিতে স্মরণ করা হয় জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। যারা তাদের বর্তমানকে চিরতরে উৎসর্গ করে গিয়েছেন এদেশের ভবিষ্যৎ ও মহান স্বাধীনতার জন্য।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বলতে ১৯৭১-এর ১৪ ডিসেম্বরকে চিহ্নিত করা হলেও, মহান মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাসই পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী ও ওদের এদেশীয় দোসর গণহত্যা চালিয়েছিল। গণহত্যার পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবেও এদেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার জ্ঞানী-গুণী ও মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন শত শত মানুষকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি বাহিনী ও ওদের সশস্ত্র সহযোগী রাজাকার-আলবদর ও আল শামস বাহিনী।
১৯৭১-এর ডিসেম্বরের শুরুতে যখন ভারত ও ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় এবং মুক্তি বাহিনীর সঙ্গে মিত্রবাহিনীও পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে; মূলত তখন থেকেই পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা প্রণয়ন করে। যে কারণে দেখা যায়, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকা ধরে ধরে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করতে থাকে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী আলবদররা।
শেষপর্যায়ে এসে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে, তাদের বিপক্ষে যুদ্ধে জেতা আর সম্ভব নয়; মূলত তখন থেকেই তারা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা তথা সাংস্কৃতিক-সামাজিক ও শিক্ষার দিক থেকে পঙ্গু করে দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিজ বাড়ি-ঘর থেকে তুলে নিয়ে বিভিন্ন টর্চার সেলে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে বধ্যভূমিত লাশ ফেলে দেয়। এই পরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী হত্যা শুধু বাংলার ইতিহাসে নয়, মানব সভ্যতার ইতিহাসেও জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড বলে বিবেচিত হতে পারে এটি।