সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কিছু কথা ২০২৩

আমাদের চারপাশে অনেক কিছু রয়েছে যারা সুবিধা বঞ্চিত হয়ে নিজের জীবন কাটাচ্ছে। আজকে আমরা তাদের বাস্তব জীবন সকলের কাছে তুলে ধরার জন্য নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কিছু কথা সম্পর্কিত একটি নতুন প্রতিবেদন। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের মাঝে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরব। আপনারা আমাদের আজকের এই কথাগুলো সংগ্রহ করে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পাশে দাঁড়াতে পারবেন এবং তাদের জীবনের দুঃখ কষ্ট গুলো উপলব্ধি করতে পারবেন। এছাড়াও আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে সুবিধা পর্যন্ত শিশুদের নিয়ে কিছু কথা সম্পর্কিত তথ্যগুলো সংগ্রহ করে আপনি সকলের মাঝে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তার উদ্দেশ্যে শেয়ার করে দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সুবিধা বঞ্চিত শিশু বলতে সেসব শিশুদের কোথায় যারা আমাদের সমাজে অবহেলিত জীবন যাপন করে এবং সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই যাদেরকে নির্যাতন ও অবহেলা পেতে হয়। সমাজে এরকম অসংখ্য সুবিধাবঞ্চিত শিশু রয়েছে। মূলত সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা সমাজের এতিম অর্থাৎ পিতৃহীন বা খেটে খাওয়া অধিকাংশ হয়ে থাকে। সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কে মূলত সমাজের প্রতিটি মানুষ বিভিন্ন রকম নির্যাতন ও অত্যাচার করে থাকে। তারা নিজেদের অধিকার কখনোই আদায় করতে পারে না। কেননা সমাজের কিছু কিছু মুখোশধারী ব্যক্তি রয়েছে যারা সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের হক মেরে খায় তারা সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সকল অধিকার নিজে ভোগ করে থাকে। সুবিধা শিশুদের বাস্তব জীবনে অনেক কষ্ট রয়েছে কেননা তারা তাদের জীবনে দুঃখ কষ্ট গুলো কারো কাছে বলতে পারে না এবং যেখানেই যায় সেখানেই তারা প্রতিনিয়ত অবহেলার শিকার হতে থাকে। আমাদের সমাজের একজন নাগরিক হিসেবে সকলের উচিত প্রতিটি সুবিধা বঞ্চিত শিশুর দিকে সাহায্যের হাত বাড়ানো এবং তাদের পাশে থাকা।
সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কিছু কথা
আমাদের সমাজে এমন অনেক শিশু রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত সুবিধা বঞ্চিত হয়ে নিজের জীবন পরিচালনা করছে। এই শিশুরা সচরাচর স্বার্থপর সমাজের স্বার্থপর মানুষদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অবহেলা এবং নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আজকে আমরা তাদের জীবনের দুঃখ কষ্ট গুলো আপনাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্যই নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটির সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কিছু কথা সম্পর্কিত নতুন এই প্রতিবেদনটি। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বাস্তব জীবনের দুঃখ কষ্ট তাদের সম্পর্কে বেশ কিছু কথা জানাবো। আপনারা এই প্রতিবেদনটি সংগ্রহ করলেন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের দুঃখ কষ্ট গুলো বুঝতে পারবেন এবং তাদের সহযোগিতার উদ্দেশ্যে সকলকে সজাগ করতে পারবেন। নিচে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরা হলো:
উন্নত দেশগুলোতে প্রত্যেক শিশুর দায়িত্ব রাষ্ট্র কোনো না কোনোভাবে পালন করে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনও সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। রাষ্ট্রযন্ত্র এদের সম্পর্কে সচেতন নয়। এদের দেখার কেউ নেই। অবহেলা, অনাদরে খেয়ে না খেয়ে এদের দিন কাটে। প্রতি বছর ২ অক্টোবর আমাদের দেশে পালিত হয় ‘জাতীয় পথশিশু দিবস’। দিনটি পালন উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এসব কর্মসূচি যারা পালন করেন, হয়তো তারাও একবার ভেবে দেখেন না, কেন দিবসটি পালন করছেন। এই বিশেষ দিবসটি পালনের সঙ্গে লুকিয়ে থাকে লজ্জা। শিশুদের এই অবস্থার জন্য দায়ী আমাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো। সবচেয়ে বড় কথা, যাদের জন্য এই দিবসটি পালিত হয় সেই পথশিশুদের এই দিবসের মধ্য দিয়ে প্রাপ্তির কিছু থাকে না।
২০০৫ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের এক গবেষণায় বলা হয়, দেশের শতকরা ৪১ ভাগ পথশিশুর ঘুমানোর বিছানা নেই; ৪০ শতাংশ প্রতিদিন গোসল করতে পারে না; ৩৫ শতাংশ খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে; ৮৪ শতাংশ শিশুর শীতবস্ত্র নেই; ৫৪ শতাংশ শিশুর অসুস্থতায় দেখার কেউ নেই; ৭৫ শতাংশ পথশিশু অসুস্থতায় ডাক্তার দেখাতে পারে না; ৮০ শতাংশ শিশু জীবন টিকিয়ে রাখতে কাজ করে; ২০ শতাংশ শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়; এবং ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ পথশিশু সার্বিকভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়।
ক্ষুধার জ্বালা, একাকিত্বের কষ্ট বা সঙ্গদোষে তারা নানা ধরনের মাদক গ্রহণ করে। ড্যান্ডি এমন এক মাদক যা অসংখ্য পথশিশু সেবন করে থাকে। ড্যান্ডি সেবন করা পথশিশুদের ভাষ্যমতে, ‘ক্ষুধা লাগে। ড্যান্ডি খাইলে ঝিমুনি আসে, ঘুম আসে। তখন ক্ষুধার কথা মনে থাকে না।’ বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্যমতে, পথশিশুদের ৮৫ শতাংশই প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে মাদকাসক্ত। সংগঠনটির তথ্যানুযায়ী ঢাকা শহরে কমপক্ষে ২২৯টি স্পট রয়েছে যেখানে ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরা মাদক গ্রহণ করে। পথশিশুরা সাধারণত ড্যান্ডি, গাঁজা, পলিথিনের মধ্যে গামবেল্ডিং দিয়ে এবং পেট্রোল শুঁকে নেশা করে।