দিবস

একুশে ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা ২০২৩

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের সকলকে আমাদের ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচনা। আমাদের আজকের আলোচনায় আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা সম্পর্কিত একটি পোস্ট। আপনারা আমাদের এই পোস্টটি সংগ্রহ করলে একুশে ফেব্রুয়ারি রচনাটি সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রতিটি স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন রকম রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তাই তো অনেকেই অনলাইনে এ বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশে ফেব্রুয়ারির নতুন রচনাটি অনুসন্ধান করে যাচ্ছে। তাদের জন্য আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটে একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা সম্পর্কিত এই পোস্টটি। আপনারা আমাদের এই পোস্টটি সংগ্রহ করলে একুশে ফেব্রুয়ারি রচনাটি সংগ্রহ করে আপনার কাজে লাগাতে পারবেন।

প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা দেশে পালিত হয়। এই দিন সারাদেশে জাতীয় পতাকা অর্ধমিত অবস্থায় উত্তোলন করা হয়। সারা দেশের প্রতিটি স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটিতে সকলে শহীদ মিনারে শহীদের সম্মান ও শ্রদ্ধা নিবেদনের ফুল অর্পন করে থাকে এবং ভাষা শহীদের স্মৃতি ও চেতনাকে জাগ্রত করার জন্য স্লোগান ও রেলি করে থাকে। একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এই দিন সারাদেশেই স্কুল কলেজগুলোতে বিভিন্ন রকম রচনা প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সবকিছুর মূলে একটি উদ্দেশ্য তা হচ্ছে প্রতিটি তরুন প্রজন্মের মানুষের কাছে ভাষা শহীদদের সম্মান ও তাদের অম্লান কৃতি তুলে ধরা এবং সকলের মাঝে একুশে ফেব্রুয়ারি চেতনা জাগ্রত করা।

একুশে ২১ শে ফেব্রুয়ারি রচনা ২০২৩

অনেকেই অনলাইনে একুশে ফেব্রুয়ারি রচনাটি সম্পর্কে জানতে চায়। তাদের উদ্দেশ্যে আজকে নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটে একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা সম্পর্কিত এই পোস্টটি। আমাদের এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদের পাশে একুশে ফেব্রুয়ারি রচনাটি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছি। আপনারা আমাদের এই রচনাটি সংগ্রহ করে আপনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আমাদের আজকের একুশে ফেব্রুয়ারি রচনাটির মাধ্যমে আপনার চারপাশের পরিচিত সকলকে একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসের চেতনা ও ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে পারবেন। তাই আপনারা যারা একুশে ফেব্রুয়ারি রচনাটি সংগ্রহ করতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি দেখে নিন। নিচে একুশে ফেব্রুয়ারি রচনাটি তুলে ধরা হলো:

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রেক্ষাপটকে গোড়া থেকে বোঝার জন্য আমাদের ফিরে যেতে হবে সেই ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দেরও আগে। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়নি তখনো। সেই সময়ে ভারতবর্ষ থেকে সদ্য বিভক্ত হয়ে যাওয়া পাকিস্তানের মধ্যে পূর্ব-পাকিস্তান রূপে পরিচিত ছিল আজকের গৌরবময় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের প্রধান তথা বৃহত্তর অংশের জনগোষ্ঠী মূলত উর্দু ভাষাভাষী হলেও পূর্ব পাকিস্তানের মাতৃভাষা ছিল বাংলা।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী এই অঞ্চলের মানুষদের ওপর জোর করে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিতে চায়। মাতৃভাষার সাথে জড়িয়ে থাকে বহু প্রাচীন ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং আবেগ। কোন ভাষার বিস্তৃতির সাথে সেই ভাষাগোষ্ঠীর ঐতিহ্য ও আবেগেরও বিস্তৃতি ঘটে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই জোর করে উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে ফেটে পড়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান। ১৯৪৭-এ দেশবিভাগের পর থেকেই বাংলা ভাষার ওপর জোর জুলুম তীব্রতর হতে থাকে। এর প্রতিবাদে তীব্র হয় ভাষা আন্দোলনও।
১৯৫২ তে তা চরম আকার নেয়। ওই বছরের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত তরুণ ছাত্র ছাত্রীদের ওপর পুলিশের নির্মম গুলিবর্ষণে কয়েকটি তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যায়। এদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক, জব্বার, সালাম, শফিউল, বরকত সহ অনেকেই।বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এই মহান দিনটিকে স্মরণ করেই ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে জাতিসংঘ এই দিনে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।

Comment Here