কবিতা

চাঁদ নিয়ে জীবনানন্দ দাশের কবিতা

সম্মানিত পাঠক আজ আমরা আপনাদের মাঝে চাকরিতে উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে জীবনানন্দ দাশের বেশ কিছু কবিতা তুলে ধরব। রূপসী বাংলার কবি ছিলেন জীবনানন্দ দাশ। যিনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উপাদান গুলো তার কবিতার ভাষায় সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। লিখেছেন প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ  নিয়ে বেশ কিছু কবিতা। আমরা জীবনানন্দ দাশের চাঁদ নিয়ে কবিতা গুলোর মাধ্যমে তাদের নিজস্ব সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারি। এজন্যই আমরা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে জীবনানন্দ দাশের চাঁদ নিয়ে বেশ কিছু কবিতা তুলে ধরব। আজকের এই চাঁদ নিয়ে কবিতা গুলো সংগ্রহ করে আপনি আপনার বিভিন্ন প্রয়োজনে কবিতা গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। আমরা আপনাদের জন্য আমাদের আর্টিকেলটিতে আজ কে জীবনানন্দ দাশের চাঁদ নিয়ে সুন্দর কবিতা গুলো তুলে ধরেছি। আশা করছি কবিতা গুলো আপনাদের সকলের পছন্দ হবে।

প্রাকৃতিক কবি ছিলেন জীবনানন্দ দাশ। যাকে রূপসী বাংলার কবি বলা হয়। জীবনানন্দ দাশ তার কবিতার রূপ রস ছন্দ প্রাকৃতিক উপাদান গুলো থেকে সংগ্রহ করতেন। তিনি গ্রাম বাংলাকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসতেন তাইতো তিনি তার কবিতাও লেখনিতে বারবার গ্রাম বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছেন। রূপসী বাংলা তার অন্যতম একটি কাব্যগ্রন্থ যেখানে তিনি বাংলার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেছেন। লিখেছেন তিনি প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে বেশ কিছু কবিতা। জীবনানন্দ দাশের চাঁদ নিয়ে কবিতা গুলো প্রতিটি মানুষের মাঝে চাঁদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরে। তাইতো সৌন্দর্য প্রিয় প্রতিটি মানুষ জীবনানন্দ দাশের এই চাঁদ নিয়ে কবিতা গুলো সংগ্রহ করে থাকে। তিনি তার কবিতায় তাদের সুন্দর বর্ণনা প্রদান করেছেন সেই সাথে চাঁদের সৌন্দর্যগুলো সকলের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। জীবনানন্দ দাশের চাঁদ নিয়ে কবিতা গুলো প্রতিটি মানুষের অন্তরের তাদের প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করে তোলে।

চাঁদ নিয়ে জীবনানন্দ দাশের কবিতা

আপনি কি অনলাইনে জীবনানন্দ দাশের চাঁদ নিয়ে কবিতা গুলো অনুসন্ধান করে যাচ্ছেন। তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমরা আজকে আপনাদের কথা ভেবে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়ে এসেছি জীবনানন্দ দাশের চাঁদ নিয়ে সুন্দর সুন্দর বেশ কিছু কবিতা। আজকের কবিতা গুলো সংগ্রহ করার মাধ্যমে আপনি তাদের সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবেন এবং চাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে জীবনানন্দ দাশের চাঁদ নিয়ে কবিতা গুলো সংগ্রহ করে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করতে পারবেন।এ ছাড়া চাঁদ নিয়ে কবিতা গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার প্রিয় মানুষটির সৌন্দর্যের প্রশংসা করতে পারবেন। নিচের চাঁদ নিয়ে জীবনানন্দ দাশের কবিতা গুলো তুলে ধরা হলো:

চাঁদিনীতে

জীবনানন্দ দাশ

বেবিলোন্ কোথা হারায়ে গিয়েছে,- মিশর- অসুর কুয়াশাকালো;

চাঁদ জেগে আছে আজও অপলক, মেঘের পালকে ঢালিছে আলো!

সে যে জানে কত পাথারের কথা, কত ভাঙা হাট মাঠের স্মৃতি!

কত যুগ কত যুগান্তরের সে ছিল জ্যোৎস্না , শুক্লা তিথি!

হয়তো সেদিনও আমাদেরই মতো পিলুবারোঁয়ার বাঁশিটি নিয়া

ঘাসের ফরাশে বসিত এমনি দূর পরদেশী প্রিয় ও প্রিয়া!

হয়তো তাহারা আমাদেরই মতো মধু-উৎসবে উঠিত মেতে

চাঁদের আলোয় চাঁদমারী জুড়ে-সবুজ চরায়, সবজি ক্ষেতে

হয়তো তাহারা দুপুর-যামিনী বালুর জাজিমে সাগরতীরে

চাঁদের আলোয় দিগদিগন্তে চকোরের মতো চরিত ফিরে!

হযতো তাহারা মদঘূর্ণনে নাচিত কাঞ্চীবাঁধন খুলে

এমনি কোন্- এক চাঁদের আলোয়, মরু ‘ওয়েসিসে তরুর মুলে!

বীর যুবাদল শত্রুর সনে বহুদিনব্যাপী রণের শেষে

এমনি কোন্- এক চাঁদনীবেলায় দাঁড়াত নগরীতোরণে এসে!

কুমারীর ভির আসিত ছুটিয়া, প্রণয়ীর গ্রীবা জড়ায়ে নিয়া

হেঁটে যেত তারা জোড়ায়-জোড়ায় ছায়াবীথিকার পথটি দিয়া!

তাদের পায়ের আঙুলের ঘায়েখড় খড় পাতা উঠিত বাজি,

তাদের শিয়রে দুলিত জ্যোৎস্না-চাঁচর-চিকন পত্ররাজি!

দখিনা উঠিত মর্মরি মধুবনানীর লতা-পল্লব ঘিরে

চপল মেয়েরা উঠিত হাসিয়া,- ‘এল বল্লভ-এল রে ফিরে!

-তুমি ঢুলে যেতে, দশমীর চাঁদ তাহাদের শিরে সারাটি নিশি,

নয়নে তাদের দুলে যেতে তুমি- চাঁদনী-শরাব, সুরার শিশি!

সেদিনও এমনি মেঘের আসরে জ্বলেছে পরীর বাসরবাতি,

হয়তো সেদিনও ফুটেছে মোতিয়া-ঝরেছে চন্দ্রমল্লীপাঁতি!

হয়তো সেদিনও নেশাখোর মাছি গুমরিয়া গেছে আঙুর বনে,

হয়তো সেদিনও আপেলের ফুল কেঁপেছে আঢুল হাওয়ার সনে!

হয়তো সেদিনও এলাচির বন আতরের শিশি দিয়েছে ঢেলে

হয়তো আলেয়া গেছে ভিজা মাঠে এমনি ভূতুড়ে প্রদীপ জ্বেলে!

হয়তো সেদিনও ডেকেছে পাপিয়া কাঁপিয়া কাঁপিয়া ‘সরোর শাখে,

হয়তো সেদিনও পাড়ার নাগরী ফিরেছে এমনি গাগরি কাঁখে!

হয়তো সেদিনও পানসী দুলায়ে গেছে মাঝি বাঁকা ঢেউটি বেয়ে,

হয়তো সেদিনও মেঘের শকুনডানায় গেছিল আকাশ ছেয়ে!

হয়তো সেদিনও মাণিকজোড়ের মরা পাখাটির ঠিকানা মেগে

অসীম আকাশ ঘুরেছে পাখিনী ছটফট্ দুটি পাখার বেগে!

হয়তো সেদিনও খুর খুর করে খরগোশ ছানা গিয়েছে ঘুরে

ঘন মেহগিনি-টার্পিন-তলে-বালির জর্দা বিছানা ফুঁড়ে!

হয়তো সেদিনও জানালার নীল জাফরির পাশে একেলা বসি

মনের হরিণী হেরেছে তোমারে- বনের পারের ডাগর শশী!

শুক্লা একাদশীর নিশীথে মণিহর্ম্যের তোরণে গিয়া

পারাবত-দূত পাঠায়ে দিয়েছে প্রিয়ের তরেতে হয়তো প্রিয়া!

অলিভকুঞ্জে হা হা করে হাওয়া কেঁদেছে কাতর যামিনী ভরি!

ঘাসের শাটিনে আলোর ঝালরে ‘মার্টিল্ পাতা পড়েছে ‘ঝরি!

‘উইলোর বন উঠেছে ফুঁপায়ে-‘ইউ তরুশাখা গিয়েছে ভেঙে,

তরুণীর দুধ-ধবধবে বুকে সাপিনীর দাঁত উঠেছে রেঙে!

কোন্ গ্রীস,- কোন্ কার্থেজ, রোম, ‘ক্রবেদুর-যুগ কোন,-

চাঁদের আলোয় স্মৃতির কবর-শফরে বেড়ায় মর!

জানি নাতো কিছু-মনে হয় শুধু এমনি তুহিন চাঁদের নিচে

কত দিকে দিকে-কত কালে কালে হয়ে গেছে কত কি যে!

কত যে শ্মশান-মশান কত যে-কত যে কামনা-পিপাসা -আশা

অস্তচাঁদের আকাশে বেঁধেছে আরব-উপন্যাসের বাসা

Comment Here